প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গার খাল চার বছর ধরে কচুরিপানা ও আবর্জনায় ছিলো পরিপূর্ণ । এতে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। খালপাড়ের আশপাশে থাকা অতন্ত ১০টি মসজিদের মুসলিদের ওজু করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল।
সাধারণ মানুষ ও মুসল্লিদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে খালের দুই কিলোমিটার এলাকার কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করেছে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে খালটি। গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সঙ্গে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনাখালে ঢুকে খালের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে খালের পানি ব্যবহার করা যেত না। পানি নষ্ট হওয়ায় আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও খালের পানি দিয়ে অজু করতে পারতেন না। এ ছাড়া গোসল করতে পারতেন না খালপাড়ের কয়েক গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) গিমাডাঙ্গা গ্রামের লিটু শেখ বলেন, রবিবার (২ মার্চ) খালটি সম্পূর্ন ভাবে পরিস্কার করা হয়েছে। এতে খাল পাড়ের আশপাশে প্রায় ১০টি মসজিদের মুসল্লিরা অজু করার সুযোগ পেয়েছেন।
এলাকা থেকে আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে খালটি পরিষ্কার করায় জন্য মৌখিকভাবে জানাই। তিনি প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। কথা অনুযায়ী খাল পরিষ্কার করায় পানিপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে নামাজের আগে অজু করতে কষ্ট হবে না।
টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতেন না। কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন পরিষ্কার করায় খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোঁয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারবেন।
টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসলিদের মাধ্যমে জানতে পেরে খালটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেই। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা খালটির পানি নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছেন। খুশি হয়েছেন এলাকাবাসী।