Print Date & Time : 3 August 2025 Sunday 1:55 am

কভিডকালে ছাদবাগান ও নার্সারিতে আয় ২০ হাজার টাকা

নয়ন খন্দকার, ঝিনাইদহ: ছোট একটি ছাদ। নানা ফল গাছে ভরা। মরু অঞ্চলের সুস্বাদু ফল ত্বীনলসহ বেশ কয়েক ধরনের গাছে ফল ধরেছে। কভিডকালে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের শিক্ষক হাফিজুর রহমান মাসুদ বাড়ির পরিত্যক্ত আঙিনা ও ছাদে গড়ে তুলেছেন দেশি-বিদেশি দুষ্প্রাপ্য ফলের বাগান।

প্রথম দিকে শখের বশে শুরু করলেও এখন এটি একটি বাণিজ্যিক নার্সারিতে পরিণত হয়েছে। তার ছাদবাগান দেখতে প্রতিনিয়ত দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। ফেরার সময় কোনো না কোনো ফলের চারা নিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত তিনি শুধু ত্বীনের চারা বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাবে গত বছর মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। সময় কাটাতে ছাদে প্রথমে দুটি লেবুর চারা রোপণ করি। এ দুটি চারার যতœ নিতে প্রতিদিন ছাদে উঠতাম। সেই থেকে তিনি ধীরে ধীরে সংগ্রহ করেন আরও দেশি-বিদেশি ফলের চারা। অনলাইনে যাচাই করে দেশের বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি নানা জাতের ফল ও ফুলের চারা সংগ্রহ শুরু করেন। বর্তমানে তার নার্সারিতে ১৭০ প্রজাতির নানা ফল ও ফুলের চারা রয়েছে।

মাসুদ জানান, তিনি পরিচিত আগ্রহী ব্যক্তি ও এলাকার কৃষকদের বিদেশি ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। তার প্রেরণায় অনেকে বাণিজ্যিকভাবে ত্বীন চাষ শুরু করেছেন। তার ছাদবাগান ও বাড়ির আঙিনায় নার্সারি দেখে এখন অনেকে তাদের নিজ বাড়ির পতিত জমিতে নানা ফলের চারা রোপণ করছেন।