শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিধি অনুযায়ী কভিড-১৯ সংক্রান্ত ‘জরুরি অবস্থা’ এখনও জারি রাখা দরকার কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল। খবর: রয়টার্স।
ডব্লিউএইচও-র এ ‘জরুরি অবস্থা’ কভিড মহামারির ওপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোযোগ ধরে রাখায় সহায়তা করে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি কভিডের জন্য তাদের সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারি করে, তারপর থেকে প্রতি তিন মাস অন্তর হওয়া বৈঠকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্যানেল এখন পর্যন্ত সতর্কতার ওই স্তর বহাল রেখেছে।
তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ নিজেদের জারি করা কভিড সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া শুরু করেছে।
সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস আন্তর্জাতিকভাবে দেয়া জরুরি অবস্থাও এ বছরই তুলে নেয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছেন। তবে প্যানেলের ওই বৈঠকে কোন সিদ্ধান্ত আসবে সে বিষয়ে এখনও কোনো ঐকমত্য হয়নি বলে ডব্লিউএইচও-র উপদেষ্টা ও সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ডব্লিউএইচও-র প্যানেলের অন্যতম সদস্য, ডাচ ভাইরাসবিদ মারিয়ন কুপমানস বলেছেন, জরুরি অবস্থার ইতি টানা হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও আছে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলা খুব কঠিন, কেননা কোভিড এখনও জনস্বাস্থ্যের জন্য জটিল চ্যালেঞ্জ হয়েই আছে। প্যানেলের গোপনীয় ওই আলোচনার আগে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
আলোচনা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা’ তুলে নিলে তা এ সংক্রান্ত বৈশ্বিক তহবিল বা সহযোগিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ভাইরাসটির অপ্রত্যাশিত আচরণের কারণে এ পর্যায়ে এসে মহামারি শেষ হয়েছে তা বলাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, বলেছেন আরেকজন বিশেষজ্ঞ।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়া নেতৃস্থানীয় কভিড বিশেষজ্ঞ সালিম আবদুল করিম বলেন, আমরা মহামারির বাইরে নেই কিন্তু ভিন্ন একটি পর্বে এসে পৌঁছেছি। জরুরি অবস্থা উঠে গেলেও সরকারগুলোর উচিত শনাক্তকরণ পরীক্ষা, টিকাদান ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলো চালিয়ে যাওয়া।