Print Date & Time : 3 August 2025 Sunday 7:25 am

কভিডের লক্ষণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা

লেবেলগুলোয় ‘এগুলোর ব্যবহার নিরাপদ’ এমন নির্দেশনা দেয়া না থাকলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পণ্য ও জীবাণুনাশক মেশানো যাবে না; পাঁচ. নির্দিষ্ট পণ্যের সংমিশ্রণের ফলে (যেমন ক্লোরিন ব্লিচ ও অ্যামোনিয়া ক্লিনার্স) গুরুতর আঘাত বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে; ছয়. মেঝেতে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত হলে পাতলা ঘরোয়া ব্লিচ সলিউশন ব্যবহার করা যেতে পারে; সাত. আপনার ব্লিচটি জীবাণুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং এতে দশমিক পাঁচ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট আছে কি না, তা দেখতে লেবেলটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। পণ্যটি যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি, তা নিশ্চিত করা চাই; আট. কাপড় রং করা বা সাদা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, এমন কিছু ব্লিচ জীবাণুমুক্ত করার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে; নয়. সঠিকভাবে মেশানো হলে ঘরোয়া ব্লিচ নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে; দশ. ব্যবহার এবং সঠিক বায়ু চলাচলের জন্য প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলি অনুসরণ করতে হবে। অ্যামোনিয়া বা অন্য কোনো পরিষ্কার-পরিছন্নতার পণ্যের সঙ্গে ঘরোয়া ব্লিচ কখনও মেশানো যাবে না; এগারো. কমপক্ষে এক মিনিটের জন্য মেঝের ওপর দ্রবণ (সলিউশন) ঢেলে দিতে হবে।

করণীয়: স্কুল বা শ্রেণিকক্ষে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং বহুল স্পর্শের জায়গা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু মজাদার ও সৃজনশীল ধারণা এবং বিধি নিয়ে আলোচনা করুন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ও নিচে ওঠা-নামার সময় রেলিং স্পর্শ না করা বা দরজার হাতলের স্পর্শ এড়াতে শ্রেণিকক্ষের দরজা খোলা রাখা। দল হিসেবে একসঙ্গে কিছু বিধি নিয়ে আলোচনা করুন। এগুলো একটি ফ্লিপচার্টে লিখুন এবং পরবর্তী সময়ে এটি আপনি শ্রেণিকক্ষে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। মজাদার স্মারক ও পোস্টার তৈরি করে করিডোরে ঝুলিয়ে রাখা যায়, যা স্যানিটেশন বিধিগুলো মেনে চলার বিষয়টি অন্যদের মনে করিয়ে দেবে।

শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে ব্যবস্থা নেওয়া: কভিড-১৯-এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো হলোÑজ্বর, কাশি ও ক্লান্ত বোধ করা। অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে সমস্যা, কথা বলতে বা চলাচলে সমস্যা অথবা বিভ্রম, বুকব্যথা, জ্বর, কাশি,  ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি হারানো, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ডায়রিয়া, ত্বকে র‌্যাশ অথবা হাত-পায়ের আঙুল বর্ণহীন হওয়া প্রভৃতি। সাধারণ লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে