Print Date & Time : 6 August 2025 Wednesday 3:06 pm

কভিডে আক্রান্ত রোগী পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন তার চেয়ে কম রোগী। গতকাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ৫২৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৪ হয়েছে। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মারা গেছেন আট হাজার ৭২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫০৯ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে চার লাখ ৭৭ হাজার ৯৩৫ হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা পাঁচ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন, যা এক দিনের সর্বাধিক শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ১০ কোটি পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ লাখ ৫৮ হাজার। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে ৩১তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৫৬টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব মিলিয়ে সর্বমোট ২০০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৭২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ লাখ ৫০৮টি নমুনা।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৩৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন আট পুরুষ ও ৯ নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, পাঁচজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট দুজন বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া আট হাজার ৭২ জনের মধ্যে আছেন ছয় হাজার ১১৫ পুরুষ এবং এক হাজার ৯৫৭ নারী। তাদের মধ্যে চার হাজার ৪৫৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া দুই হাজার ২৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯২৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

মৃতদের মধ্যে চার হাজার ৪৯২ জন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ৪৮৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৪৭ জন খুলনা বিভাগের, ২৪২ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৮৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।