কভিডে একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৪ জন। এ সময় একজন মারা গেছেন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১১৮ জনের এবং শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ জন। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৯২১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫৭১টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৫২১টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় এক দশমিক ২৭ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯৬ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং মারা গেছেন এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

মৃত নারীর বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের একটি সরকারি হাসপাতালে মারা যান।

গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে সংক্রমণ কমে এলেও অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনের দাপটে এ বছরের শুরুতে তা আবার বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।

গত বছর ৮ ডিসেম্বরের পর গত ১৬ মার্চ এক দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ার খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় টানা তিন দিন কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর ১৮ মার্চ দুজন ও ২০ মার্চ তিনজনের মৃত্যুর খবর আসে কভিডে। সোমবার ও মঙ্গলবার কারও মৃত্যু হয়নি কভিডে।

গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশে, আর মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৯ শতাংশে।

বাংলাদেশে কভিডের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছর ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্বে কভিড আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ লাখ ৯৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত রোগী ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৪২ লাখের বেশি।