Print Date & Time : 4 August 2025 Monday 1:46 pm

কভিডে এক দিনে ২৫ মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত এক দিনে আরও ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৩৬৩ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে সাত লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯।

সরকারি হিসাবে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এক দিনে আরও ৬০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন। ঈদের ছুটির প্রথম দুই দিনে নমুনা পরীক্ষা এক-চতুর্থাংশে নেমে আসায় শনিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে তিন হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শনিবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা বেড়ে পাঁচ হাজার ৫০৮ হয়েছে, তবে এখনও তা ঈদের ছুটির আগের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছর ৮ মার্চ। তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিশ্বে শনাক্ত কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ১৬ কোটি ২৫ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৫৯টি ল্যাবে পাঁচ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ সাত হাজার ৭১৬টি নমুনা।

রোববার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৬ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৫টি।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে আছেন ১৮ পুরুষ ও সাত নারী। তাদের মধ্যে ২০ জন সরকারি হাসপাতালে, চারজন বেসরকারি হাসপাতালে ও একজন বাড়িতে মারা যান। তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ছয়জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর ও দুজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে আছেন আট হাজার ৭৯৯ পুরুষ এবং তিন হাজার ৩৫২ নারী।