নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে কভিডে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) কেউ মারা যাননি; এ সময় শনাক্ত হয়েছেন ৯২ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ১১৮ জনের মৃত্যু ও ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২ জন শনাক্ত হয়েছেন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এদিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৬টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ১১১টি। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, শনাক্তের হার ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ০৯ শতাংশ ও মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর দিকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এরপর শনাক্তের হার এর চেয়ে নিচে আর নামেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারির মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২ জন হয়েছে। নতুন কারও মৃত্যুর খবর না আসায় মহামারিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১১৮ জনই রয়েছে।
গত বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে ৬৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৫৬ জনই ঢাকা জেলার।
সরকারি হিসেবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও এক হাজার ১১৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছর ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হন।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারির মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গত বছর শেষ দিকে বাংলাদেশে সংক্রমণ কমে এলেও অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের দাপটে এ বছর শুরুতে তা আবার বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
গত বছর ৮ ডিসেম্বরের পর গত ১৬ মার্চ এক দিনে কারও মৃত্যু না হওয়ার খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় টানা তিন দিন কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর ১৮ মার্চ দুজন, ২০ মার্চ ৩ জনের মৃত্যুর খবর আসে। সোম ও মঙ্গলবার কারও মৃত্যু হয়নি, বুধবার একজনের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার আরও একটি দিন করোনাভাইরাসে মৃত্যুহীন কাটল।
মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশে। আর মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬১ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৫৯ লাখের বেশি।