নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে এক দিনে শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছে, তবে বেড়েছে মৃত্যু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তও জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৭৯ জনের শরীরে কভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।
আগের দিন সোমবার ১ হাজার ৭২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেদিন ৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ২৯১ জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ২৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কভিড থেকে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৬৯৩ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেড়ে হলো ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৬৫০। নতুন শনাক্ত ৮৭৯ জনের মধ্যে ৪২০ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলাতেই গত এক দিনে নতুন রোগী ধরা পড়েছে।
মৃত আটজনের মধ্যে তিনজন ঢাকা বিভাগের, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন করে এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন একজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং একজন নারী।
নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে একপর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নামে। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারিতে দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৬ কোটি ২৪ লাখের বেশি।