কভিডে ৩০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত নামল ১০ হাজারের নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জন মারা গেছেন। এ সময় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ১০ হাজারের নিচে। শনাক্তের হার এসেছে ২৫ শতাংশের নিচে। তবে একই সঙ্গে কমেছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা) শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২ জন। আর শনাক্ত হওয়া এই রোগীর সংখ্যা গত ২২ জানুয়ারির পর সর্বনি¤œ। ওই দিন ৯ হাজার ৬১৪ জনের শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল অধিদপ্তর। ২৩ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৯০৬ জনে দাঁড়ায়। এরপর ২৬ জানুয়ারি শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৩ জনে পৌঁছায়।

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও অনেক কমে এসেছে। অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩৯ হাজার ৭২৬টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৪৪৫টি।

দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৫১৪টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪০ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭০টি।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া ৯ হাজার ৫২ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জন আর মারা যাওয়া ৩০ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ২৮ হাজার ৫২৪ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ২৮২ জন। তাদের নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক চার শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৯ জন আর নারী ১১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৮ হাজার ২১৪ জন আর নারী ১০ হাজার ৩১০ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনের বয়সই ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। এরপর ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। ৫১ থেকে ৬০ আর ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সীদের মৃত্যু হয়েছে চারজন করে। আর ২১ থেকে ৩০ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেও মারা গেছেন দুইজন করে।

৩০ জনের মধ্যে কেবল ঢাকা বিভাগেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। বাকিদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দুইজন করে আর বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন একজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩০ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৩ জন। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন সাতজন।