Print Date & Time : 2 August 2025 Saturday 6:52 pm

কভিড ওয়ার্ড থেকে লাশ নামানো নিয়ে ভোগান্তি

প্রতিনিধি, বরিশাল: সার্বক্ষণিক লিফটম্যান না থাকায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের কভিড ওয়ার্ড থেকে লাশ নিচে নামানো নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন মৃতের স্বজনসহ সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার সকালে একাধিক মৃত রোগীর পরিবারের স্বজনরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন।

সূত্রমতে, গত শনিবার রাতে লিফটম্যান না থাকায় লাশ নামানো নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মৃত রওশন আরা বেগমের (৬৫) স্বজনরা। শনিবার বিকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন রওশন আরা বেগম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন দিবাগত ভোর রাতে কভিড ওয়ার্ডের চারতলায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভোর রাতে রওশন আরা বেগমের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যেতে চাইলেও লিফটম্যান না থাকার কারণে তার লাশ নিচে নামানো যায়নি।

পরবর্তী সময়ে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লিফটম্যান আসার পর রওশন আরা বেগমের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান তার পরিবার। এ ব্যাপারে কভিড ওয়ার্ডের মাস্টার ফেরদৌস হোসেন জানান, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করা হবে।

এদিকে ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে কভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এর মধ্যে কভিডে ভোলায় ছয়, বরিশাল জেলায় চার, পটুয়াখালীতে দুই ও পিরোজপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় জেলায় ৭৮৯ জন। এই তথ্য বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই হাসপাতলে কভিডে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে নতুন ৪৭ জন রোগী নিয়ে অবজারভেশন কক্ষে ভর্তি রয়েছেন ১৯৭ জন এবং কভিড ওয়ার্ডে ভর্তি ১১৪ জন। আর জেনারেল হাসপাতালে ২২ বেডের বিপরীতে গতকাল চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৩ জন।

পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ টেস্টে ১০৫ জন পজিটিভ এসেছে। হার ৫৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জেলার সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ২৮২ জন নতুন পজিটিভ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১৭ জন বরিশাল নগরীর। মুলাদী উপজেলায় ৪১ জন এবং আগৈলঝাড়া উপজেলায় কভিড শনাক্ত হয়েছেন ২৫ জন।

বরিশাল জেলায় ২৮২ জনের পর ভোলায় ১৬০ এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পুটয়াখালী, এখানে কভিড শনাক্ত হয়েছে ১২৯ জনের। কভিডে মৃত ১৩ জনের মধ্যে তিনজন নারী আর ১০ জন পুরুষ। তাদের বয়স ৪৫ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে।