Print Date & Time : 23 July 2025 Wednesday 2:42 am

কভিড-১৯ ও মাস্ক কিছু নির্দেশনা

মাস্ক কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সহায়তা করে। তবে অনেক মা-বাবাই লক্ষ করে থাকবেন, শিশুদের ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবহার শুরু করাটা মোটেও সহজ নয়।

জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে মাস্কের ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি দেশে দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে অনেক পরিবারের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরার কারণে ২০২০ সাল তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আপনি যদি আগে কখনও মাস্ক ব্যবহার না করে থাকেন, তবে আপনার সম্ভবত এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকবে। আপনাকে আপনার পরিবারের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম সিদ্ধান্তটি নিতে সহায়তা করার জন্য আমরা কভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে কীভাবে মাস্ক পরতে ও সঠিকভাবে এর যতœ নিতে হয় এবং কীভাবে সফলতার সঙ্গে আপনার পরিবারে এর ব্যবহার শুরু করা যায়, সে সম্পর্কে সর্বশেষ বিশেষজ্ঞ তথ্য সংগ্রহ করেছি:

কভিড-১৯ সম্পর্কে সাধারণ তথ্যের জন্য এর লক্ষণগুলো কী, কীভাবে এটি ছড়ায় এবং কীভাবে নিজেকে ও আপনার শিশুদের সুরক্ষা দেয়া যায়, সে বিষয়ে জানতে পড়ুন ‘কভিড-১৯: বাবা-মায়েদের কী করা উচিত’।

মুখে মাস্ক কেন পরতে হবে? কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান উপায় হলো শ্বাসনালি থেকে বেরিয়ে আসা ক্ষুদ্র জলকণা (ড্রপলেট), যা কথা বলা, গান গাওয়া এবং কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় বেরিয়ে আসে। যদিও গবেষণা চলমান রয়েছে, তবে আমরা এখন জানি, ভাইরাস এমন মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এর অর্থ হচ্ছে, কিছু মানুষ সংক্রমিত হতে পারে, এমনকি কোনো ধরনের উপলব্ধি ছাড়াই।

কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়া স্থানগুলোয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে জনাকীর্ণ স্থানগুলোয় অন্যদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সবসময় সম্ভব নয়, যে কারণে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।

অবশ্যই মনে রাখবেন, কেবল একটি মাস্ক কভিড-১৯-এর বিস্তারকে আটকাবে না। আমাদের সবাইকেই শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এবং ঘনঘন হাত ধোয়ার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা কভিড-১৯-কে পরাহত করতে পারি। (ক্রমশ)

ইউনিসেফের তথ্য অবলম্বনে