করাচি-চট্টগ্রাম রুট ব্যবসার জন্য নতুন সম্ভাবনা- চবক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো। বর্তমানে আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী। নতুন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উšে§াচিত হলো। এতে সাশ্রয়ী ব্যয় ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। যদিও জাহাজটির ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৩০০টি কনটেইনার; যা ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী-করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল কোনো গেজেট নোটিফিকেশন, পিপিআর, টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই এবং পেপার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাজে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছিল; যা আমরা বাতিল করেছি। এছাড়া বন্দরের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব চুক্তি হয়েছে; তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এসব চুক্তিেেত বন্দরের স্বর্থবিরোধী কিছু হলে তা আামরা বাতিল করব। এর জন্য কমিটি হয়েছে।

তিনি বলেন, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চবক সদস্য হাবিবুর রহমান, শহীদুল আলম, কমডোর এম ফজলার রহমান প্রমুখ।