শেয়ার বিজ ডেস্ক: মহামারিতে ঘরবন্দি মানুষ অনলাইনে বৈঠক করেছেন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাই করোনাকালে ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। খবর: বিবিসি।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (মে-জুলাই) জুমের আয় হয়েছে ৬৬৩ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ৩৫৫ শতাংশ বেশি, যা বিশ্লেষকদের দেওয়া প্রাক্কলিত হিসাব ৫০০ দশমিক পাঁচ মিলিয়নের চেয়েও অনেকে বেশি।
এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় হয়েছে ১৮৬ মিলিয়ন ডলার, যা চলতি বছরে কোম্পানিটির মুনাফা দ্বিগুণেরও বেশি। একইসঙ্গে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৪৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার কারণে ঘরে বসে কাজ করার কারণে জুমের মতো অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলো সবার জন্য ছিল অতীব জরুরি। পুঁজিবাজারে দাম বেড়েছে জুমের শেয়ারের। গত সোমবার দিনশেষে কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারের দাম ছিল ৩২৫ দশমিক ১০ ডলার। বার্ষিক আয় ৩০ শতাংশ বেড়ে ২৩৭ কোটি থেকে ২৩৯ কোটি ডলার হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়ার পর শেয়ারের এ মূল্যবৃদ্ধি। অথচ আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ১৭৮ থেকে ১৮০ কোটি ডলার।
জুমের এ রেকর্ড মুনাফার নেপথ্যে প্রধান কারণ হিসেবে অর্থের বিনিময়ে অনেক গ্রাহক তৈরি করা ছাড়াও উচ্চমূলে করপোরেট ক্লায়েন্ট তৈরির বিষয়টিকে তুলে ধরেছে, যা একই রকম সেবাদাতা অন্য কোম্পানিগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কারণ সেসব কোম্পানি শুধু বিনা মূল্যে তাদের গ্রাহকদের এ সুবিধা দিচ্ছে।
গত মার্চ থেকে বিশ্বের অনেক দেশে করোনার বিস্তার রোধে লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারির পর থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং সেবাদাত অ্যাপগুলোর গ্রাহক সংখ্যা দ্রুতই বাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে জুম ছাড়াও রয়েছে সিসকো ওয়েবএক্স এবং মাইক্রোসফট টিমসের মতো অ্যাপস। তবে জুম ছিল অন্য সবগুলোর চেয়ে ব্যতিক্রম।