পরিদর্শন শেষে শিল্প উপদেষ্টা

কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদন বাড়ানোর কাজ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমরা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে কর্ণফুলী পেপার মিলকে কীভাবে নতুন করে কাজে লাগানো যায়, সে চিন্তা করছি। এ মিলের পরিচালনা পদ্ধতি ব্যক্তি মালিকানাধীন হবে নাকি সরকারি মালিকানায় থাকবে এর সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা করছি। এমন কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

তিনি বলেন, ২০২২ সালে এ মিলের ওপর যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে আজকে আমাদের পর্যবেক্ষণ। আমাদের দেশের শিল্পগুলোকে কাজে লাগিয়ে সরকারের স্বল্প সময়ে আমরা অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানো এখন আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ ঘোনায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শনে
শেষে গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। এর আগে তিনি এ দিন দুপুর ১২টায় কেপিএম গেস্ট হাউজে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ মিলের যে যন্ত্রপাতিগুলো আছে এটা দিয়ে বেশি ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব নয়। যেহেতু এর সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততা আছে, তাই এর প্রাকটিক্যাল দিক নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটাও ভাবছি। দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আজকে আমরা সরাসরি কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শনে এসে সার্বিক পরিস্থিতি অবগত হলাম। কেপিএম’র অনেক জায়গা আছে। কিন্তু বিদেশি কেমিক্যালের ওপর নির্ভর না করে দেশের কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম’র উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকসহ কেপিএম’র সব বিভাগীয় প্রধান এবং সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপন করার জন্য ১২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়া দীর্ঘ মেয়েদি পরিকল্পনা হিসেবে একটি নতুন পেপার মিল স্থাপন করা প্রয়োজন।