কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে হবে

মো. আরাফাত রহমান: কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতা, জ্ঞান ও উদ্ভাবনী শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশের শিক্ষা ও দক্ষতা উচ্চ মানের, সেসব দেশ বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেক বেশি কার্যকর। দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক অংশগ্রহণকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বেসরকারি খাত, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও সুশীল সমাজ, তেমনি রয়েছে অনেক সরকারি মন্ত্রণালয়, যারা দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, ২০১১’ দেশের দক্ষতা প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও সমন্বয় কার্যক্রমের মান উন্নয়নের জন্য একটি বড় ধরনের পদক্ষেপ, যা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।

এই নীতি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নীতি, যেমন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষানীতি ২০০৬, যুবনীতি ২০০৩, জাতীয় প্রশিক্ষণ নীতি ২০০৮ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিলের কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ভবিষ্যৎ বছরগুলোয় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য লক্ষ্য এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সরকার শিল্প খাত, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যেসব মূল সংস্কার ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে, সেগুলো এই নীতিতে বর্ণনা করা হয়েছে। এ-জাতীয় নীতির সমর্থনে রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট ও সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা, যা সংশ্লিষ্ট সবার স্বচ্ছ ভূমিকা ও দায়িত্ব চিহ্নিত করবে এবং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য পাঁচ বছরের সময়ভিত্তিক ও পরিমাপযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।

দেশের মানবসম্পদের কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও দক্ষতা উন্নয়নের একটি সমন্বিত ব্যবস্থা করার জন্য সরকারি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার বাইরে গিয়েও চিন্তাভাবনা করার ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দক্ষতা উন্নয়ন বলতে বোঝায় কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিস্তৃত আনুষ্ঠানিক এবং উপানুষ্ঠানিক কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। আন্তর্জাতিক পদ্ধতির সঙ্গে সংগতি রেখে দক্ষতা উন্নয়নের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (ক) প্রাক-কর্মসংস্থান এবং জীবিকানির্ভর দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশি ও বিদ্যালয়ভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; (খ) কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং কর্মস্থলের প্রশিক্ষণ এবং (গ) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত নয়, এমন কর্মসংস্থান-উপযোগী ও কাজ-সম্পর্কিত স্বল্পমেয়াদি কোর্সসমূহ, যা দেশি ও আন্তর্জাতিক উভয় শ্রমবাজারে অবদান রাখছে।

দক্ষতা উন্নয়নের অবস্থান হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, শ্রম, কর্মসংস্থান, শিল্পোন্নয়ন নীতিসহ বিভিন্ন নীতিমালার মাঝখানে। এটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপাদানসমূহকে সম্পৃক্ত করে দক্ষতা উন্নয়ন ধারণাকে সুস্পষ্ট করে। বাংলাদেশে অনেক মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থা শিল্প এবং সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেক ধরনের আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকে। অনেক বেসরকারি প্রশিক্ষণ সংস্থা, এনজিও এবং দাতা সংস্থাও আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক উভয় ধরনের দক্ষতা প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজের ভেতরে বা কাজের বাইরে দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে।

বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থাকে চারটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়Ñ(ক) সরকারি (অনেক মন্ত্রণালয়ে নানা মাত্রায় পরিচালিত); (খ) সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত (এমপিওভুক্ত, অনুদানপ্রাপ্ত) বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ; (গ) বেসরকারি (বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ); (ঘ) এনজিও (অলাভজনক প্রতিষ্ঠানসমূহ) এবং (ঙ) শিল্পভিত্তিক (শিল্পকারখানা কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং শিক্ষানবিশি ব্যবস্থাসহ কর্মস্থলে দেয়া প্রশিক্ষণ)। এসব প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির ও বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিক এবং উপানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে।

সাধারণভাবে যা বোঝায়, দক্ষতা উন্নয়নের পরিধি তার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত ও বহুমুখী। বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ও কর্মযজ্ঞ এর অন্তর্ভুক্ত। এর প্রভাব অবশ্য সীমিত যেহেতু তাদের কর্মসূচি একই লক্ষ্যকেন্দ্রিক না হয়ে আলাদা-আলাদাভাবে পরিচালিত হয়। অথচ একটি বৃহত্তর সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করা এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এই আলাদা আলাদা প্রচেষ্টাগুলোকে একটি একক নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় এনে একটি সমন্বিত ও সুপরিকল্পিত নির্দেশনা প্রদানের জন্য যৌক্তিক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আগের পদ্ধতিতে মান নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়ভাবে কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ছিল না এবং যোগ্যতা কাঠামো শিল্পের পেশা বা দক্ষতামানের ভিত্তিতে গঠিত নয়। কারিকুলাম বা পাঠ্যসূচি উন্নয়ন খুবই কেন্দ্রীভূত, অনমনীয় এবং সময়সাপেক্ষ আর এটি প্রয়োজনভিত্তিকও নয়। উপরন্তু নতুন কোর্স তৈরি, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন কোর্সের সম্প্রসারণ এবং অপ্রচলিত কোর্সসমূহ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বহীন থাকায় শ্রমবাজারের প্রয়োজন সবসময় প্রতিফলিত হয় না। বিদ্যমান কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় গুণগত মানের প্রাসঙ্গিকতা ও কর্মসূচি পরিচালনার পরিধির ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। গ্র্যাজুয়েটদের কাজ পাওয়ার তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, তাদের গুণগত মানে সামঞ্জস্য নেই।

সরকারি খাতের প্রশিক্ষণে সমন্বয়হীনতার ফলে যেসব বিপত্তি ঘটে তার মধ্যে রয়েছে, কর্মসূচিসমূহের পুনরাবৃত্তি, একই লক্ষ্যভুক্ত দলের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে সীমিত যোগাযোগ এবং কোনো শিল্প বা পেশার জন্য কী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, তার কোনো সুস্পষ্ট চিত্র না থাকা। বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থা যেসব বাধার সম্মুখীন হয়, তার সবই আর্থিক বা সম্পদের ঘাটতি-সম্পর্কিত নয়। আরও বেশি কার্যকর এবং জাতীয়ভাবে সংগতিপূর্ণ নীতি, ব্যবস্থাপনা এবং মান নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উৎকর্ষ সাধন করা যেতে পারে।

সরকার, শিল্প খাত, কর্মী ও সুশীল সমাজের মধ্যে মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নের যে ভিশনটি স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো জাতীয় উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ সৃষ্টির জন্য একটি সমন্বিত ও সুপরিকল্পিত কৌশল হিসেবে দক্ষতা উন্নয়নকে সরকার এবং শিল্পস্বীকৃতি ও সমর্থন দেবে। সংস্কারকৃত দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থা সবাইকে শোভন কাজ পাওয়ার সক্ষমতা দেবে এবং সারা বিশ্বে স্বীকৃত মানের উন্নত দক্ষতা, জ্ঞান ও যোগ্যতার মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সামর্থ্য নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার মিশন বা লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে সহায়তা দেয়া। এজন্য প্রয়োজনÑ(ক) ব্যক্তির কাজ পাওয়ার সামর্থ্য এবং পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি ও শ্রমবাজারের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সামর্থ্য বৃদ্ধি করা; (খ) শিল্প খাত বা বাণিজ্য উদ্যোগগুলোর উৎপাদনশীলতা ও লাভের পরিমাণ বাড়ানো এবং (গ) জাতীয়ভাবে প্রতিযোগিতার ক্ষমতা শক্তিশালী করা এবং দারিদ্র্য কমানো।

জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতির প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো (ক) বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন সংস্কার কার্যক্রমের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদান; (খ) বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের মান ও প্রাসঙ্গিকতার উন্নয়ন; (গ) আরও বেশি নমনীয় ও দায়িত্বশীল সেবাদান কৌশল প্রতিষ্ঠা করা, যা শ্রমবাজার, ব্যক্তি এবং বৃহত্তর অর্থে সমাজের চাহিদা মেটাতে সক্ষম; (ঘ) নারী ও বিশেষ চাহিদা রয়েছে এমন শ্রেণির মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ আরও ব্যাপক করা এবং শিল্প সংগঠন, নিয়োগকারী ও কর্মিবাহিনীর দক্ষতা উন্নয়নে অংশগ্রহণ এবং জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করা; (ঙ) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দাতা সংস্থা, শিল্প এবং সরকারি ও বেসরকারি দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যাবলির ফলপ্রসূ পরিকল্পনা, সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ আরও শক্তিশালী করা।

বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে জাতীয়ভাবে চিহ্নিত এমন জনগোষ্ঠী, যেমন যুব সম্প্রদায়, নারী, স্বল্পদক্ষতাসম্পন্ন মানুষ, বিশেষ চাহিদা রয়েছে এমন শ্রেণির মানুষ, অভিবাসী, দেশের ভেতর স্থানচ্যুত মানুষ, বয়স্ক শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বিভিন্ন সংস্কৃতির সংখ্যালঘু শ্রেণি এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীসহ সব নাগরিকের এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির শিল্প, উপানুষ্ঠানিক অর্থনীতি, পল্লী খাত ও আত্ম-কর্মসংস্থানে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের বাধা হলো বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত এবং শোভন কাজ বাড়ানো। অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যা পরিবেশ, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিষয়ে অধিকতর সচেতনতা সৃষ্টি করবে।

দক্ষতা উন্নয়নে সামাজিক অংশীদারদের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে এ প্রক্রিয়ায় যাদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ নিয়োগকারী ও কর্মিবাহিনী, যারা সরকারের সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একটি লক্ষ্য নির্ণয় ও বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে। দক্ষতা উন্নয়ন নীতির মাধ্যমে সরকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহ দেয়ার জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে এবং ব্যক্তি তার যোগ্যতা এবং পেশাগত জীবন উন্নয়নে সহায়তা পায়।

বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দেশে-বিদেশে চাকরিদাতাদের, কর্মীদের ও বৃহত্তর অর্থে সমাজের চাহিদা মেটাতে দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থাকে অবশ্যই আরও বেশি নমনীয় এবং চাহিদার প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। যেহেতু কর্মসংস্থানের চাহিদা উচ্চস্তরের দক্ষতার দিকে ঝুঁকছে, সেহেতু পেশার ধরন বদলে যাচ্ছে এবং নতুন চাকরি, চাকরিতে নতুন পদবি এবং নতুন কাজের নানা ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে। এজন্য এটি অবশ্যকরণীয় যে, বাংলাদেশকে দক্ষতার সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং নতুন ধরনের কাজ ও কাজ সংগঠনের দাবি মেটানোর জন্য উচ্চতর ও আরও দক্ষতাসম্পন্ন বিপুলসংখ্যক কর্মী তৈরি করতে হবে, যারা উঁচু দক্ষতার সেবা খাত ও উঁচু প্রযুক্তির শিল্প উৎপাদন উভয় ক্ষেত্রে কাজ করবেন।

সহকারী কর্মকর্তা

ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট

সার্ভিসেস বিভাগ

সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়