একটি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগ-প্রধানের সাফল্যের ওপর নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও’র সফলতা। সিইও সফল হলে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেশি হয়।
খুশি হন শেয়ারহোল্ডাররা। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সিইও’র সুনাম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও), কোম্পানি সচিব, চিফ মার্কেটিং অফিসারসহ এইচআর প্রধানরা থাকেন
পাদপ্রদীপের আড়ালে। টপ ম্যানেজমেন্টের বড় অংশ হলেও তারা আলোচনার বাইরে থাকতে পছন্দ করেন। অন্তর্মুখী এসব কর্মকর্তা সব সময় কেবল প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকেন। সেসব কর্মকর্তাকে নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘টপ ম্যানেজমেন্ট’। শেয়ার বিজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবার বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) ও এশিয়া প্যাসিফিক ফেডারেশন অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (এপিএফএইচআরএম) সভাপতি ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মোশাররফ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. হাসানুজ্জামান পিয়াস
মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) ও এশিয়া প্যাসিফিক ফেডারেশন অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের (এপিএফএইচআরএম) সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব পিপল ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসের (ডব্লিউএফপিএমএ) একজন বোর্ড মেম্বার
শেয়ার বিজ: আপনার ক্যারিয়ারের গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই।
মোশাররফ হোসেন: ক্যারিয়ার শুরু করি ১৯৯৭ সালে কেয়ার বাংলাদেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে। এরপর ২০০৩ সালে পল্লি দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনে মানবসম্পদ বিভাগের ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিই। প্রায় দুই বছর ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পর ২০০৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
শেয়ার বিজ: বিএসএইচআরএম গঠনের মুখ্য উদ্দেশ্য ও শুরুর গল্প জানতে চাই।
মোশাররফ হোসেন: মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা ও পেশাকে প্রচার, প্রসার ও উন্নত করার জন্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের চর্চা বাড়ানোর জন্য বিএসএইচআরএম প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ সোসাইটিস অ্যাক্ট অনুযায়ী ২০০১ সালে বিএসএইচআরএম নিবন্ধিত হয়। ২০০২ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু।
বাংলাদেশে তখন মানবসম্পদ উন্নয়নের চর্চা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম ছিল। এ বিষয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ ছিল না। এটি যে একটি পেশা হতে পারে, তা নিয়েও মানুষ ভাবতো না। ফলে মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা এ পেশা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তেন। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে স্বীকৃত। তাই আমরা দশ জন সদস্য মিলে সিদ্ধান্ত নিই যে, আমাদের দেশে একটা সংগঠন দরকার। প্রায় ১৫ বছর পর উপলব্ধি করতে পারছি, যে উদ্দেশ্যে আমরা ১০ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ৩ জন সাধারণ সদস্য কাজ শুরু করেছিলাম তা অনেকটাই সফল। আজ এ সংগঠনে প্রায় ২৫০০ সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি এর কর্মকাণ্ডও বেড়ে চলেছে। এখানে বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে দুটা প্রশিক্ষণ কোর্স চালু আছে। স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়েছে। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছি। সুতরাং আমরা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করেছিলাম, তা অনেকটাই সফল। এখন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি জনপ্রিয় পেশায় পরিণত হয়েছে।
শেয়ার বিজ: বিএসএইচআরএম প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে দেশে মানবসম্পদ উন্নয়ন চর্চা এবং বর্তমান সময়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন চর্চার মধ্যে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন?
মোশাররফ হোসেন: উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন এসেছে। তখন বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়নের চর্চা বলতে জাতিসংঘের কিছু সংস্থা ও কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগ ছিল। এখন প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে বিভাগটি রয়েছে। হয়তো মানবসম্পদ উন্নয়নের সঠিক চর্চা হচ্ছে না, কিন্তু প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে এ বিভাগ রয়েছে। তা ছাড়া এখন যারা মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন তারা বিবিএ, এমবিএ, ডিপ্লোমা অথবা মানবসম্পদ বিষয়ের ওপর কোনো না কোনো কোর্স বা পড়ালেখা করেছেন। আমরা যখন মানবসম্পদ নিয়ে কাজ শুরু করি তখন একে তো মানবসম্পদ বিভাগ ছিল না, আবার যেখানে ছিল সেখানে নন এইচআর কর্মী এইচআর নিয়ে কাজ করতো। যার জন্য এদেশে সন্তোষজনক এইচআর প্রাকটিস হয়নি। তবে এ ধারা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।
শেয়ার বিজ: বিএসএইচআরএম প্রতিষ্ঠার শুরুতে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল?
মোশাররফ হোসেন: প্রথম চ্যালেঞ্জ সদস্যসংখ্যা সীমিত ছিল। মাত্র ১০ থেকে ১২ জন সদস্য ছিল। যা একটা সংস্থা পরিচালনার জন্য অপ্রতুল। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ, বিএসএইচআরএম ভলান্টিয়ারি অর্গানাইজেশন হওয়ায় আর্থিক সমস্যা ছিল। এমনকি প্রথম দশ বছরে আমরা কোনো অফিস ভাড়াই নিতে পারিনি। প্রথম পাঁচ বছর কোনো ধরনের অর্থ সহায়তা ছাড়াই অফিস করেছিলাম আমার বাসায়। পরের পাঁচ বছর অফিসটি ছিল ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ঢাকা ক্যাম্পাসে। তখন অর্থ ও সদস্য কোনোটাই পর্যাপ্ত ছিল না। মানুষকে অফার করলে সবাই বলতো, এটার কী দরকার? আমাদের এটা দরকার নেই।
শেয়ার বিজ: প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের ভূমিকা কী?
মোশাররফ হোসেন: বাংলাদেশে লোকসংখ্যা ছাড়া তেমন কোনো সম্পদ নেই। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কর্মক্ষমতার ওপর। আর প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক যোগ্য মানুষ নির্বাচন করে তাদের ডেভেলপ করে। তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানকে সফল হওয়ার কাজটা করেন। অনেক সময় দেখা যায়, কর্মী নির্বাচন ঠিক হয়নি। কিন্তু আপনার যদি একটা দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা দল থাকে তাহলে সেটি সম্ভব। নির্বাচনের পর কর্মীদের প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ দিয়ে উন্নত করতে হয়। তার দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে, আর একটা বিষয় হলো, মানুষ তখন ভালো কাজ করে, যখন তার ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এসব কিছুর জন্য একটা মানবসম্পদ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া কর্মী রিলেশনস, কর্মীদের ভালো খারাপ দিক বিবেচনা করা একজন দক্ষ মানুষ ছাড়া সম্ভব না। প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীকে পিপলস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব মানবসম্পদ ব্যস্থাপকের। যে প্রতিষ্ঠানে ভালো মানবসম্পদ উন্নয়ন চর্চা করা হয়, সে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটা কর্মী অত্যন্ত কর্মদক্ষ হয়।
শেয়ার বিজ: বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ কী?
মোশাররফ হোসেন: প্রতিষ্ঠানটি এখন অনেক বড় হয়েছে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামেও আমরা একটা অফিস নিয়েছি। সারা দেশে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কার্যক্রম থাকেই। এত কাজ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সম্ভব না। আমরা যারা প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছি, তারা নিজের অফিসের কাজ শেষ করে এখানে সময় দেওয়ার চেষ্টা করি, তবে এটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই। আমরা এত কিছুর পরও সরকারের কাছ থেকে তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাই না। আজ পর্যন্ত আমরা কোনো অনুদান পাইনি। সবই সদস্যদের অর্থায়নে চলছে। মানবসম্পদের মালিক সরকার। বিশ্বের অনেক দেশে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় রয়েছে। আমাদের দেশেও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থাকলে বেশ ভালো হতো। তাহলে সরকারের আগ্রহ থাকলে, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতাম। এখন আমাদের এ কাজটা ‘একলা চলো’ নীতির মতো হয়ে রয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আরেকটি বিষয় হলো, আমরা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নেই। বিএসএইচআরএম এখন এশিয়া প্যাসিফিক ফেডারেশনের মেম্বার। আর এশিয়া প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড ফেডারেশনের মেম্বার। সবশেষে বলা যায়, আমাদের সংগঠনের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটার রক্ষণাবেক্ষণ বেশ চ্যালেঞ্জের।
শেয়ার বিজ: দেশে দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপকের অভাব আছে, এর কারণ কী?
মোশাররফ হোসেন: কারণ হলো মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পেশাটি তুলনামূলক নতুন। খুব বেশি দিন চালু হয়নি। দক্ষ হিসেবে গড়ে উঠতে একটু সময় প্রয়োজন। আমি মনে করি, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে দেশে অনেক দক্ষ ব্যবস্থাপক গড়ে উঠবে। তা ছাড়া এখন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচআর নিয়ে পড়ালেখা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানে এইচআর বিভাগের গুরুত্বও বাড়ছে।
শেয়ার বিজ: বিএসএইচআরএম মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়ক এমন উল্লেখযোগ্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছে?
মোশাররফ হোসেন: আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের এখানে অনেক সিনিয়র মেম্বার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। তা ছাড়া আমাদের সংগঠনের সদস্যদের উন্নতির জন্য প্রতিমাসে ২ টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমরা ভারত ও শ্রীলংকার সঙ্গে পার্টনারশিপ হয়ে কাজ করছি। সেখানে প্রশিক্ষণ বা সেমিনার হলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের পাঠাই। আমরা সেমিনারের আয়োজন করলে, সেখানেও দেশবিদেশের অনেক স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানাই। এতে বিশ্বের অন্য দেশের এইচআর প্রাকটিস সম্পর্কে ধারণা নিতে পারি।
শেয়ার বিজ: বাইরের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে এইচআর প্রাকটিসের অবস্থান কেমন?
মোশাররফ হোসেন: বাংলাদেশে এইচআর প্রাকটিস বিশ্বমানের হচ্ছে, তা বলবো না। আমরা পিছিয়ে আছি। তবে আশার কথা হলো এইচআর প্রাকটিসের প্রয়োজনীয়তা সবাই বুঝতে পারছে এবং এটা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনেক চেষ্টা করছে। তারা বিভিন্ন প্রফেশনালদের নিয়ে বেস্ট প্রাকটিসের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
শেয়ার বিজ: প্রতিষ্ঠানে একজন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপককে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়?
মোশাররফ হোসেন: প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো, কর্মী নির্বাচন। কারণ নির্বাচনের সময় অনেক ধরনের সুপারিশ, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি থাকে; এসব কিছুর মধ্য দিয়েই একজন ভালো কর্মী বাছাই করা অনেক চ্যালেঞ্জের। আবার কর্মী নির্বাচনের পর তাদের উন্নত ও দক্ষ করাও এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দক্ষ কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা।
শেয়ার বিজ: যারা এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কী?
মোশাররফ হোসেন: এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। অনেক প্রতিষ্ঠানে মানবসম্পদ বিভাগ ছিল না, এখন হচ্ছে। আমি মনে করি, অল্প সময়ের মধ্যে পেশা হিসেবে শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে চলে যাবে। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা পেশাটি অনেক জাঁকজমকপূর্ণ হচ্ছে। আমি বলবো উজ্জ্বল ভবিষৎ আছে এ পেশায়।
শেয়ার বিজ: পেশা হিসেবে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক, কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
মোশাররফ হোসেন: এ পেশায় এসে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজেকে যতটা উন্নত করতে পেরেছি, অন্য পেশায় হয়তো সেটি পারতাম না।