শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা পুর করপোরেশনে জিতল শাসকদল তৃণমূল। বিরোধীদের কার্যত হোয়াইট ওয়াশ করল তৃণমূল। এতে ছোট লালবাড়ি তাদের দখলেই থাকল। খবর: আনন্দবাজার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ভো-কাট্টা বিজেপি। উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন কলকাতার মানুষ।
তবে উৎসবের মেজাজে কলকাতার মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তার। কেননা সম্প্রতি ত্রিপুরায় গিয়ে নানা সমস্যা দেখেন তিনি।
তিনি তাই বলেন, ত্রিপুরায় তখন পুরভোট চলছে। থানায় ঢুকে তৃণমূলের নেতাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল বিজেপি। চোখের সামনে সেই ঘটনা দেখেছি। কীভাবে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেয়নি শাসক দল বিজেপি, সে কাহিনি শুনেছি বাম ও তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে। ভোটের দিন বুথ দখল, ছাপ্পা, রিগিং এবং বুথ জ্যামের গাদা-গাদা অভিযোগ এসেছে বিরোধীদের তরফ থেকে। আর ফলের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হলো।
কলকাতা পুরভোটকে গণতন্ত্রের অন্যতম বড় উৎসব বলে দাবি করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা বলেন, শুধু ভোট লুট করে কারও পক্ষে জেতা সম্ভব হয় না। হাওয়া যখন ঘোরে, তখন শত চোখরাঙানি উপেক্ষা করে মানুষ পরিবর্তনের ভোট দেয়। সাংবাদিকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাসহ সব রাজ্য দেখেছে সে ঘটনা।
তবে আশঙ্কার কথা বলেছেন তারা। তাদের মতে, এ ধরনের নির্বাচন উৎসব নয়। তারা বলছেন, প্রধান সমস্যা হলো, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অতীতে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল, যেভাবে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন হলোÑএকইভাবে এবার কলকাতা পুরসভা ভোট হলো। এসব উদাহরণ উৎসব নয়। এমন ভোট আবার হলে পশ্চিমবঙ্গের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হবে মনে করেন তারা।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই নির্বাচন গণতন্ত্রের জয়। নির্বাচন হয়েছে উৎসবের মতো করে। এটাই আশা করে জনগণ। কামাক্ষ্যা যাওয়ার আগে দেখা করে গেলাম। মা-মাটি-মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ।আমরা আরও বেশি করে কাজ করব। কলকাতা ও বাংলা আমাদের গর্ব। বিশ্বকে পথ দেখাবে বাংলা। আমরা মাটিতে থেকে কাজ করি, তাই আমাদের ল্যান্ডসøাইড ভিক্টরি হয়েছে। কলকাতা নিরাপদ শহর। এবারে আমরা গ্রাম, সেমি আরবান ও আরবান এলাকার প্রতি আরও বেশি করে নজর দেব।’