কাঁঠালবাড়ী শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পদ্মায় পানির তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কারণে দেশের দক্ষিণবঙ্গের যাতায়াতের মূল প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গতকাল সোমবার তীব্র স্রোতের কারণে সব দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করেছে। এ রুটে সকাল থেকে ১৫টি ফেরির মধ্যে পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে নৌরুটে দুটি বড় ও তিনটি ছোট ফেরিসহ মোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে স্রোত মোকাবিলা করে বিকল্প চ্যানেলে পৌঁছাতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। সময় অনেক বেশি লাগছে। বন্যার পানিতে তীব্র স্রোতের কারণে কয়েক দিন ধরে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, নদী পাড়ি দিতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। ঘূর্ণিস্রোত ফেরিগুলোকে চ্যানেলের বিপরীত দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো হলে বাকি ১০টি ফেরি চলাচল করবে।

অন্যদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শিমুলিয়া ঘাটের প্লাটুনের অ্যাপ্রোচ বারবার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে গাড়ি ওঠানামার ক্ষেত্রেও চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্লাটুনের অ্যাপ্রোচ পানিতে ডুবে গেলে বালি ও ইট দিয়ে বারবার উঁচু করে সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, শিমুলিয়া ঘাটে ফেরিস্বল্পতার কারণে ঘাট এলাকায় নদী পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন। ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটটিতে গাড়িতে বসে থাকা যাত্রীরা।