কাতার সফরে রোহিঙ্গাবিষয়ক এক সেমিনারে নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, কাতারে সফরকালে সেখানে ড. ইউনূস রোহিঙ্গা-বিষয়ক আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এক সেমিনারে নেতৃত্ব দেবেন। এলএনজি আমদানি এবং ভিসা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হবে। কাতারের আমিরের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। সেইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় বিশেষ সাক্ষাৎকার দেবেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কাতার সফরে রোহিঙ্গা-বিষয়ক এক সেমিনারে নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি ওঠার আগে এই সেমিনারকে তার প্রস্তুতিপর্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, কাতারে আর্থনা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা যোগ দেবেন। আজকে (গতকাল) আমরা সন্ধ্যা ৭টায় কাতারের উদ্দেশে ফ্লাই করব। সেখানে নেমে রাত হয়ে যাবে। আমাদের ব্যস্ত দিন যাবে ২২ ও ২৩ তারিখে। স্যারের মূল প্রোগ্রাম হচ্ছে আর্থনা সম্মেলন। এর মূল আয়োজক কাতারের রয়েল ফ্যামিলি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই টিমে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যাচ্ছেন। যেহেতু কাতারের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ সময়ের এলএনজি আমদানির একটা চুক্তি আছে, কাতারের সঙ্গে আমাদের এনার্জির আলাপগুলো হবে। তাদের সঙ্গে আমরা ভিসা-সংক্রান্ত কিছু আলাপ করব। আমরা আরও আলাপ করব কাতারের সঙ্গে আমাদের ইকোনমিক কো-অপারেশন কীভাবে বাড়ানো যায়। সেক্ষেত্রে একটা বড় বাণিজ্য সম্মেলন হবে। কাতারের যারা লিডিং ইনভেস্টর তারা থাকবেন সেই সম্মেলনে। আমরা আশা করছি, সেখানে ভালো কিছু রেসপন্স পাব। কাতার চ্যারিটি ও কাতার ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আরও মিটিং আছে। সেগুলোর ডিটেইলস এখন আর কিছু বলছি না।
প্রেস সচিব বলেন, আল-জাজিরা কাতারের খুব নামকরা টিভি স্টেশন। তারা স্যারকে ইনভাইট করেছেন তাদের হেডকোয়ার্টার্সে যাওয়ার জন্য। সেখানে তারা স্যারের ওয়ান টু ওয়ান একটা ইন্টারভিউ নেবেন। এছাড়া তার আরও কিছু এনগেজমেন্ট-মিটিং আছে। কাতারে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী একটি রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের বিষয়ে একটা বড় সম্মেলন আছে। এই সম্মেলনে আমাদের চিফ অ্যাডভাইজার নেতৃত্ব দেবেন। গ্লোবালি যারা রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা সেখানে থাকবেন। আমরা আশা করছি, এটা খুব সাকসেসফুল একটা মিটিং হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন নিউইয়র্কে সেপ্টেম্বরে ইউএন হোস্ট করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের ওপর একটা বড় সম্মেলন। সেটারই প্রস্তুতিসুলভ এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একের পর এক গ্লোবালি বড় বড় সম্মেলন করছি, তার মধ্যে রোহিঙ্গা ক্রাইসিসের বিষয়টা অলমোস্ট যেটা হারিয়ে গিয়েছিল, সেটা আবার গ্লোবাল ডিসকাশনের যে ম্যাপ সেখানে ফিরে আসবে। আমরা সেখান থেকে খুব দ্রুত কিছু সমাধান পাব, এটা আমাদের আশা।
প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে আসবেন ২৪ এপ্রিল বলেও জানান তিনি।
সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাচ্ছেন ফরেন অ্যাডভাইজর মো. তৌহিদ হোসেন, আমাদের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার খলিলুর রহমান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও এসডিজি কোঅর্ডিনেটর লামিয়া মোর্শেদসহ কয়েকজন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
