Print Date & Time : 2 September 2025 Tuesday 8:31 am

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটিতে কানাডা-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাডা-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অডিটরিয়ামে ‘কানাডা-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ, এ জার্নি অব ফিফটি ইয়ার্স’শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়| কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

অনুষ্ঠানে আব্দুল মোনেম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. এস. এম. মঈনউদ্দীন মোনেম, পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কমকর্তা তারেক রিয়াজ খান, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এইচ এম জহিরুল হকসহ সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সালমান এফ রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এতদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের সেরা তিনটি সফলতার পরিমাপক হল- কৃষিতে সাফল্য, ১০০% বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশন।’

মহিবুল হাসান চৌধুরী তার বক্তব্যে ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একের অধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজেদেরকে প্রতিযোগিতাময় চাকরি ক্ষেত্রের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন।  কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকলস বলেন, ‘বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত। যেভাবে গত ৪০ বছরে দারিদ্র্য দূরিকরণ হয়েছে, মৃত্যুহার কমেছে এবং গড় আয়ু বেড়েছে, তা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিন্তু পাশাপাশি ভুলে গেলে চলবে না, এখনকার মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- নারী-পুরুষের বৈষম্য, মেরুকরণ এবং তরুণদের নিজেদেরকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ও বহির্ভূত ভাবার প্রবণতা। অতীতে কানাডা সব সময়েই বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাশে থাকবে।’