Print Date & Time : 18 July 2025 Friday 5:16 am

কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণমান ‘এ ওয়ান’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এ ওয়ান’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া কমপ্লেক্সের ঈগল হলে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা ২০ পয়সা। ওইদিন এক লাখ ৭১ হাজার ৬৫৮টি শেয়ার মোট ৩৪৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৪ টাকা থেকে ৫৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৫১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২৫ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৮ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং বাকি ৪৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ২২ দশমিক ৬৫ ও হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২০ দশমিক ৩৬।