শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নির্দিষ্ট পণ্যে শুল্ক ছাড়ের সুযোগ দক্ষিণ কোরিয়া বাতিল করবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিওটিও)। সৌর প্যানেল ও ওয়াশিং মেশিনের ওপর ওয়াশিংটন শুল্কারোপ করায় তার জবাবে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে প্রতি বছর এ ধরনের পণ্যের প্রায় এক দশমিক চার বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়। খবর সিনহুয়া।
ডব্লিউটিওর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্যবিষয়ক এ সংস্থার কাছে জানিয়েছে কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের বিষয়টি বাতিল করে দেবে। শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ১৯৯৪ সালে করা এক সমঝোতার আলোকে দেশটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমদানিকৃত সৌর প্যানেল ও আবাসিক কাজে ব্যবহƒত ওয়াশিং মেশিনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র শুল্কারোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো। তবে ডব্লিউটিওর কাছে পাঠানো ওই বার্তায় দক্ষিণ কোরিয়া ‘সমমানের ছাড়’ উল্লেখ করলেও কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আগামী তিন বছরের জন্য ওয়াশিং মেশিনের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। আর সৌর প্যাণেলের ওপর এ শুল্কারোপের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নথিতে উল্লেখ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কিছু পণ্যে শূল্ক ছাড় স্থগিত থাকবে।
গত মার্চের প্রথমদিকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্কের হার বাড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় ১২৮টি মার্কিন পণ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্কারোপের কথা ঘোষণা করে বেইজিং। দু’দেশের এ রেষারেষিতে সারাবিশ্বে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এরই মধ্যে গত সপ্তাহে মেধাস্বত্ব লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে এক হাজার ৩০০ চীনা পণ্যে অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ডলারের শুল্কারোপের নতুন পরিকল্পনার কথা জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও ১০৬টি মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপের প্রস্তাব করে। আর সর্বশেষ বেইজিং থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরও ১০ হাজার কোটি ডলারের শুল্কারোপের প্রস্তুতি নিতে তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
ফলে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে পতন লক্ষ্য করা গেছে। একই অবস্থা বিশ্বের অধিকাংশ শেয়ারবাজারে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের বাণিজ্য ব্যবস্থা বেশ শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বারবার সতর্ক করে দিয়েছে ডব্লিউটিওসহ বৈশ্বিক সংস্থাগুলো। তবে এতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় আরও খারাপ কিছুর আশঙ্কা করছেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।