Print Date & Time : 31 July 2025 Thursday 5:23 pm

কিছু মার্কিন পণ্যে শুল্কছাড় চান চীনের আমদানিকারকরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: মার্কিন কয়েকটি কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক তুলে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করছেন চীনের আমদানিকারকেরা। গত রোববার চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি জাপানের ওসাকায় জি-২০ সম্মেলনে দুই দেশ সাময়িকভাবে বাণিজ্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর আমদানিকারকদের কাছ থেকে এমন আবেদন আসছে। খবর: এএফপি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন আমদানিকারক মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পণ্যের দর নিয়ে কথা বলছেন এবং চীন সরকারের কাছে ওইসব পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক তুলে নিতে আবেদন করছেন। আমদানিকারকেরা ওই পণ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদার যুক্তি দেখিয়েছেন আবেদনে।
তবে কোন পণ্যের শুল্ক তুলে নিতে আহ্বান জানাানো হয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। এটাকে বিশ্লেষকরা একটি ভালো সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের শুল্কতালিকা থেকে চীনের ১১০টি পণ্য প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছিল।
গত তিন সপ্তাহ আগে জাপানের ওসাকায় জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে সাইডলাইন বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আবার আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন। এছাড়া নতুন করে চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করবে না বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প।
বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন, তাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও ঘোষণা দিয়েছেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো চীনা টেলিকম কোম্পানি হুয়াওয়ের কাছে পণ্য বিক্রি অব্যাহত রাখবে। গত মাসে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
বহুদিন ধরেই বৈরী সম্পর্কের মধ্যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়। একে অন্যের ওপর কয়েক বিলিয়ন ডলার শুল্কারোপ করে বাণিজ্যযুদ্ধের দিকে এগিয়ে গেছে তারা। উভয় দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব বুঝতে পেরে এ বাণিজ্যযুদ্ধ অবসানে আলোচনা শুরু করে দুদেশ। কিন্তু আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় ট্রাম্প শুল্ক বাড়িয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ উসকে দিয়েছেন। কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই গত মাসে ১৩ দফার বাণিজ্য আলোচনা শেষ হয়।
দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ ব্যবসায়ী ও ক্রেতার মধ্যে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, তেমনই বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে। কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতার জন্য শুল্ক বাড়ানোটা একটি ধাক্কার মতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এশিয়ান ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ এলমস বলছেন, ‘এটি অর্থনীতিতে এক বড় ধাক্কা দিতে যাচ্ছে।’