Print Date & Time : 1 August 2025 Friday 8:45 pm

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে সব কয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পানিপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় জেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চীনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়া ও নদী ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সব কয়টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা মনিটরিং করা হচ্ছে। সরেজমিনে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অধিকাংশ বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই কাজকর্ম নেই, তার ওপর বন্যার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বানভাসিরা। বাড়ির চারপাশে যারা সবজি লাগিয়েছেন, সেগুলো এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া নিচু টয়লেট ডুবে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন নারী ও শিশুরা।

এদিকে প্রচণ্ড নদীভাঙনের মুখে পড়েছে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, বুড়াবুড়ি ও বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ। ভাঙছে রৌমারীর কর্তিমারী, চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব এলাকায়। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রায় দুই শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। চরের অধিকাংশ ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।