Print Date & Time : 8 July 2025 Tuesday 2:54 am

কুয়াশার সঙ্গে শীতল বাতাস বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: ২১ পৌষ শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। কুয়াশার সঙ্গে শীতল বাতাস যোগ হওয়ায়
বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকালের মত আজও রবিবার সূর্যের দেখা মেলেনি ।রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলা। লাইট জালিয়ে যানবহন চলাচল করছে। এর ফলে কনকনে ঠান্ডা আর হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু জনজীবন।তীব্র শীতে কস্টে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।কুয়াশার কারনে তাপমাত্রা বেশি হলেও কমেনি শীতের দাপট। আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ডিগ্রি সেলসিয়াস ও এ সময়ে বাতাশের আর্দ্রাতা ৯৮ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান , রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নি¤œ আয়ের মানুষদের। চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজার চৌরাস্তার মোড়ে কাজের সন্ধানে আসা মানিক নামের এক শ্রমিক বলেন,খুব ঠান্ডা পড়ছে। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। এখনো কাজ পায়নি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসে আরো বেশী শীত লাগছে। ঘর থেকে বেরুতে পারছিনা। কিন্তু পেটের দায়ে কাজের জন্য বের হতে হচ্ছে। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, একদিন কাজে না আসলে বাড়ীতে চুলো জ্বলবে না। বাধ্য হয়েই এই তীব্র শীতের ভোরে কাজে এসেছি। চুয়াডাঙ্গায় আরো কিছুদিন তাপমাত্রা নি¤œ পর্যায়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।