কূটনীতিকদের কাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করে ‘বন্ধুত্ব নষ্ট না করতে’ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনারের আহ্বান এবং বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে ১৪ দেশ ও ইইউর বিবৃতির প্রেক্ষাপটে গতকাল ধানমণ্ডিতে এক অনুষ্ঠানে কাদেরের এ মন্তব্য এলো।

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচনী অফিসে দলের ২২তম সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সভায় তিনি বলেন, ‘৬ জানুয়ারি (যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে সংঘর্ষ) আমেরিকার চেহারা দেখেছি গণতন্ত্রের। বলছি, ইলেকশন স্টোরি। আজ পর্যন্ত এক পক্ষ মেনে নেয়নি। রেজাল্ট মেনে নেয়নি। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বলা হয় না, এসব ব্যাপারে এখন আমেরিকায় বলা হচ্ছে। পাঁচটা লোক মারা গেছে। কংগ্রেস আক্রান্ত হচ্ছে। ন্যান্সি পেলোসি কীভাবে লুকিয়ে ছিলেন, সে দৃশ্য আমরা দেখেছি। এই যে বড় বড় কথা বলেন, দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, মান্যবর রাষ্ট্রদূত, বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না।’

কাদের বলেন, ‘কারও ফরমায়েশ, কারও হস্তক্ষেপ শেখ হাসিনা শুনবেন না। বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমাদের অতীতের অনেক বেদনা আছেÑপঁচাত্তরের, একাত্তরের। তারপরও আমরা বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু এভাবে করলে বন্ধুত্বে ফাটল ধরবে।’

যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেখানে কয়বার প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন হলো? আমরা তো সে তুলনায় অনেক ভালো আছি। যে কেউ ইন্টারফেয়ার করার দরকার নেই। আপনাদের এত কিছু হচ্ছে, আমরা তো ইন্টারফেয়ার করি না। আমাদের তো এত বছর হয়েছে এই ঘটনা ঘটেনি। দুই এমপি ব্রিটেনে আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন।’

ক্ষমতাধর দেশগুলোকে ‘নিজেদের দিকে’ তাকানোর পরামর্শ? দিয়ে কাদের বলেন, ‘ডেইলি ম্যাস শ্যুটিং হচ্ছে সপ্তাহে অন্তত দুটা। একেকটাতে পাঁচ-দশজন, ১৯টা শিশু ম্যাস শ্যুটিংয়ে মারা গেছে। আপনারা মানবাধিকারের কথা বলেন। আর পুলিশকে সেখানে ধরা হয়েছে, তারা যথাসময়ে সিকিউরিটি দিলে এই ঘটনা ঘটত না; সিকিউরিটি ল্যাপসেস। সবাই নিজের চেহারাটা আগে দেখুন। অবাক লাগে আমার কালকে মিডিয়ায় দেখলাম, জার্মানিতে ফাররা (কট্টর ডানপন্থি) একটা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে। ক্যু করছে, ক্যু করার চক্রান্ত করছে। কাজেই কারও ভেতরের খবর অত সুখবর নয়।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম, অ্যাম্বাসেডর মো. জমির, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হীরু, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।