কে হচ্ছেন রাবির পরবর্তী উপ-উপাচার্য?

মনির হোসেন মাহিন, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া। নিয়োগের পর থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের ফোনালাপ ফাঁসসহ নানা অভিযোগে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয় তাকে ঘিরে। আগামী ২৬ জুলাই পূর্ণ হতে যাচ্ছে তার চার বছরের মেয়াদকাল। শূন্য হতে যাওয়া প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে দায়িত্ব পেতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কয়েকজন প্রভাবশালী শিক্ষকের নাম রয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

দলীয় বিবেচনায় কাউকে নিয়োগ দেয়া হবে, নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণার মান ও নেতৃত্বদানে ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবেন, সে নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে শিক্ষার্থীবান্ধব সৎ, যোগ্য ও দক্ষ প্রশাসক চান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ইচ্ছামতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পছন্দের প্রার্থীকে প্রশাসনে আনতে উঠেপড়ে লেগেছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতারা। এ নিয়ে সর্বমহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কে হতে যাচ্ছেন রাবির দ্বিতীয় উপ-উপাচার্য, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ (সংশোধিত)-এর অধ্যাদেশ-১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দুভাগে ভাগ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো দুইজন উপ-উপাচার্য নিয়োগ দেন। এর মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রম দেখাশোনার জন্য প্রথম উপ-উপাচার্য হিসেবে নতুন করে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ জুলাই।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে থেকেই নতুন উপ-উপাচার্য পদে কে আসছেন, এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানা আলোচনা। সম্ভাব্য উপ-উপাচার্য হিসেবে বেশ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে জায়গা করে নেয়ার দৌড়ে আছে অনেকেই। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বর্তমান আহŸায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান খান, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একরাম উল্ল্যাহ, শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সাবেক কনভেনার ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. জুলফিকার আলীর নামও রয়েছে আলোচনায়।