কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছে মসলার দাম, বিপাকে ক্রেতা

প্রতিনিধি, হিলি: প্রত্যেক কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। আর সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আর মাত্র কয়েক দিন পরই কোরবানির ঈদ। হিলিতে কোরবানি ঈদের আগেই অস্থির মসলার বাজার। সব থেকে বেড়েছে জিরা ও এলাচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে জিরা ও এলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০০ টাকা।

৫২০ টাকার জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকায় এবং দুই হাজার ৮০০ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৩০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের রেট বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে সব ধরনের মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। এদিকে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন। বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।

হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা সবুজ জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে মসলার আমদানি বেড়েছে। প্রতিদিন আমদানি হচ্ছে আদা, রসুন, জিরা, এলাচসহ নানা মসলাজাতীয় পণ্য। তারপরও কোনোভাবেই বাজারে লাগাম টানা যাচ্ছে না এসব মসলাজাতীয় পণ্যের দামে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে জিরা, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, এলাচসহ বেশকিছু মসলাজাতীয় পণ্যের দাম।

আরেক মসলা বিক্রেতা জানান, সপ্তাহে খানেক আগেও হিলির পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি জিরা ৫২০ টাকায়, কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকায়, এলাচ দুই হাজার ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এছাড়া ২০০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

হিলি বাজারের কয়েকজন মসলা ক্রেতা বলেন, হিলি স্থলবন্দরে মসলা কম দামে কিনতে পারায় এখানে আসে দূর-দূরান্তের ক্রেতারা। কিন্তু এতসব মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।  নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ হারুন বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মসলার পর্যাপ্ত এলসি দেয়া আছে। এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা, আদা, এলাচসহ বিভিন্ন পণ্য প্রতিদিনই আমদানি করা হচ্ছে। তবে ডলারের রেট বৃদ্ধি ও ভারতে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মসলার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। আমদানি বাড়লে দামটা অনেক কমে আসবে।

হিলি পানামা পোর্ট লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, বন্দরের সব কার্যক্রম শেষে আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত বাজারজাত করতে পারেন, সে কারণে দ্রুত ছাড় করা হয়ে থাকে যেকোনো পণ্য।  হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জানুয়ারি থেকে ২১ মে পর্যন্ত জিরা ১০ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন, আদা চার হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন ও এলাচ ১৪৭ মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে।