নিজস্ব প্রতিবেদক: ভিন্নধর্মী ব্যাংকিংয়ের কারণে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ অন্যান্য বাংকের তুলনায় অনেক কম। দেশব্যাপী এটিএম নেটওয়ার্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ব্যাংকটি গ্রাহকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। পাশাপাশি ভালো লভ্যাংশ ও শেয়ারপ্রতি আয় বৃদ্ধির কারণে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, অন্য ১০টি ব্যাংকের মতো প্রজেক্ট লোননির্ভর নয় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, যার কারণে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একদিকে খেলাপি ঋণ কম, অন্যদিকে মূলধন সংকট নেই, ফলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সামর্থ্য অন্য যে কোনো ব্যাংকের চেয়ে বেশি।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য সাড়ে ২৭ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল আট টাকা ৬৯ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনভিপিএস) হয়েছে ৫৮ টাকা ৪৪ পয়সা।
আগামী ২৫ এপ্রিল ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।
গত বছর ডাচ্-বাংলা ব্যাংক সর্বোচ্চ লাভ্যাংশ ঘোষণা করে ১৫ শতাংশ এবং বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে ১৫ শতাংশ।
গত কয়েক বছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। ২০১৯ সালে শেয়ারপ্রতি আয় আট দশমিক ৬৮ টাকা ও ২০২০ সালে ১০ টাকা। নেট অ্যাসেট ভেল্যু ২০১৯ সালে ছিল ৫৪ দশমিক ৮৯ টাকা এবং ২০২০ সালে ছিল ৫৮ দশমিক ৬৫ টাকা।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। এ কারণে তারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে কোনো ধরনের সমসায় পড়ে না। নিয়মিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিচ্ছে ব্যাংকটি, পাশাপাশি প্রতি বছরই শেয়ারপ্রতি আয় ও নেট অ্যাসেট ভেল্যু বৃদ্ধির কারণে এই কোম্পানির শেয়ারে মানুষের আগ্রহ একটু বেশি। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য এই শেয়ারটি খুবই উপযুক্ত, বর্র্তমানে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সামর্থ্য সর্বোচ্চ দুই-চারটি ব্যাংক দিয়ে আসছে। বাকি ব্যাংকগুলো বছরের পর বছর ধরে শুধু বোনাস শেয়ারই দিয়ে আসছে।