শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা হস্তান্তরে হোয়াইট হাউসের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তরে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের পক্ষ দেখে রুঢ় আচরণ দেখেননি এবং তা দেখতেও চান না। খবর: বিবিসি।
আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে শুরু থেকেই ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ২৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে আপত্তি প্রত্যাহার করেন ট্রাম্প। অবশ্য, এখনও তিনি পরাজয় মেনে নিতে রাজি নন। বারবারই ভিত্তিহীনভাবে দাবি করছেন যে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
এরই মধ্যে, নিজের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেছেন বাইডেন। এনবিসির নাইটলি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ডেমোক্র্যাট নেতা জানিয়েছেন, এখনও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথা হয়নি। তবে তিনি আশা করেন, তার মেয়াদের শুরুতেই ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াজনিত বিলম্বের প্রভাব পড়বে না।
বাইডেন বলেন, ‘এটি ধীরগতির সূচনা। তবে এটি হচ্ছে তো। আর দুই মাস বাকি আছে। কাজের গতি বজায় রাখার ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী।’ সদ্য বিজয়ী এ ডেমোক্র্যাট নেতা আরও বলেন, টিকা বিতরণ ও সহজলভ্য করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হোয়াইট হাউসের কভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সকে দায়িত্ব দেবেন তিনি।
মঙ্গলবার ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার প্রত্যাবর্তন হয়েছে এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত আছে। আমেরিকা সেখান থেকে পিছু হটবে না।’
বাইডেনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী নিয়োগের অনুমোদন পেলে এভ্রিল হাইনেস হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রথম নারী পরিচালক। আলেহান্দ্রো মায়োর্কাস হবেন প্রথম লাতিনো হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান। এছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এখন থেকে সর্বোচ্চ গোপনীয় গোয়েন্দা তথ্য পেতে শুরু করবেন জো বাইডেন। এখন থেকে প্রতিদিন আন্তর্জাতিক হুমকি এবং নানা বিষয়ের তথ্যের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দায়িত্বভার গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলারের তহবিল পাবেন।
ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ ছয় পদে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করেছেন বাইডেন। অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জন কেরিকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত, এভ্রিল হাইনেসকে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান, আলেহান্দ্রো মায়োর্কাসকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান, জ্যাক সুলিভাননে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাইডেন।
ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক প্রধান জ্যানেট ইয়েলেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ ঘোষণা এখনও আসেনি। জন কেরি অথবা সুলিভান ছাড়া অন্যসব নিয়োগের ক্ষেত্রে সিনেটের অনুমোদনের দরকার হবে। তবে সাধারণত কোনো নিয়োগ প্রত্যাখ্যাত হয় না। যদিও সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে বেশকিছু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।