নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারির ক্ষতি সামলে উঠতে ক্ষতিগ্রস্ত সিএমএসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ দিতে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে শুধু চলতি মূলধন হিসেবে এ ঋণ দেয়া হতো। এখন থেকে কটেজ, মাইক্রো ও স্মল প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি মূলধনের পাশাপাশি তিন বছর মেয়াদি টার্ম লোন হিসেবে দেয়ার নির্দেশ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান অবকাঠামো সংস্কার ও সাজসজ্জার পাশাপাশি সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সম্পদ ক্রয়ের জন্য পুনঃঅর্থায়নকারী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদেয় পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা চলতি মূলধনের পরিবর্তে মেয়াদি ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে, যার মেয়াদ হবে তিন বছর। পুনঃঅর্থায়নের তারিখ থেকে এক বছর পরে ঋণের টাকা আদায় করা হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ২৩ জুন করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি সামলে উঠতে বাংলাদেশ ব্যাংক শিল্প ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ৩০ কোটি ডলার বা দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকার পুনঅর্থায়ন তহবিল চালু করে। এ ঋণের অর্থের জোগান দেয় এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। এ তহবিল থেকে উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হবে। তহবিলটির নাম দেয়া হয় ‘কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্রাইসিস রেসপন্স ফ্যাসিলিটি প্রজেক্ট (সিইসিআরএফপি)’।
ওই সময় নীতিমালায় বলা হয়েছে, সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে, ওই নিয়মেই এ প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হবে।
২০২১ সালের ৩১ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় সরকার এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৯টি তহবিলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি সম্পৃক্ত। তবে মোট ১২টি তহবিল বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার আকার প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।