খন্দকার মোশতাকের পুত্র ও নাতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাা


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও নাতি খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ এর বিরুদ্ধে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বিক্রি ও আত্মসাতের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কুমিল্লার ৩ নম্বর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহবুব খান ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ ও খন্দকার মোশতাকের ভাগিনা খন্দকার জাবির আহমেদ সরোয়ার।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন।

মামলার বাদী খন্দকার জাবির আহমেদ সারোয়ার জানান, মোশতাকপুত্র ইশতিয়াক পূর্বপুরুষের সম্পত্তি দখলে রাখতে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন। এরি মধ্যে সে বেশ কিছু সম্পত্তি জাল দলিল ও ভুয়া স্বাক্ষরে বিক্রয় করে দেন।

এতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে অংশীদারিত্ব পেতে তিন জনকে আসামি করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলায় ইশতিয়াক, তার ছেলে ইফতেখার ও কেয়ার টেকার নিজামুদ্দিনকে আসামি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ইশতিয়াক ও ইফতেখার দুই পিতা-পুত্র কানাডায় পলাতক রয়েছে।

সম্পত্তির আরেক ওয়ারিশ কাজী রেহা কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী মোশতাক তার নানার পরিবারের সদস্য হলেও আদর্শগত কারণে তাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পলাতক আসামিদের অবিলম্বে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।
এদিকে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইফতেখার হোসেন জানান, আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত মঙ্গলবার বিকালে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে, আদেশের বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামি ইশতিয়াক ও ইফতেখার বিদেশে পলাতক আছেন। গ্রাপ্তারি পরোয়ানা হাতে পেলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে