Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 2:09 pm

খরার কবলে যুক্তরাজ্য শুকিয়ে গেছে টেমস নদীর উৎসমুখ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে দিশাহারা ইউরোপের মানুষ। তাপপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এদিকে প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরঘেঁষা টেমস নদীর উৎসমুখ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় শুকিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, খরার কবলে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রস্তুতিও নেই বলে মনে করছেন তারা। খবর: রয়টার্স।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, গড় বৃষ্টির দিক থেকে চলতি বছরের জুলাই মাসটি ছিল ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে শুষ্ক। এ সময় মাত্র ২৩ দশমিক ১ মিলিমিটার গড় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের কিছু অংশে জুলাই মাসটি ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে শুষ্ক মাস।

ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত টেমস নদী ২১৫ মাইল প্রশস্ত। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ এ নদীর উৎস। সাধারণত গ্রীষ্মকালে এ উৎস শুষ্ক থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর আগের বছরগুলোর তুলনায় নদীর পানি অনেক কমে গেছে।

নদী সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা রিভার্স ট্রাস্টের কর্মকর্তা এলিসডেয়ার নাউল বলেন, ‘এটি খুব অগভীর হয়ে পড়েছে। টেমসের শুকনা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াতে আপনাদের খুব বেশি দূরে যেতে হবে না। সত্যিকার অর্থে এ সময় ওই শুষ্ক জায়গা ভেজা থাকার কথা ছিল, সব সময়ই তা ভেজা থাকা উচিত।’

একদিকে নজিরবিহীন গরম এবং অন্যদিকে কম বৃষ্টিজনিত পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের দুটি পানি সরবরাহ কোম্পানি এরই মধ্যে হোসপাইপ ও স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহারের ওপর সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। টেমস ওয়াটার নামের আরও একটি কোম্পানি একই রকম ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা করছে।

বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে চার দিনের ‘চরম তাপমাত্রা’ জনিত সতর্কতা কার্যকর করা হয়েছে। গত মাসে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর পর দেশটির আবহাওয়া দপ্তর প্রথমবারের মতো এ ধরনের সতর্কতা জারি করেছিল। এটি ছিল যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু ও পানিসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হান্না ক্লোক বলেন, কম বৃষ্টির কারণে নদী ও জলাধারগুলোয় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সেখান থেকেই ফসলের আবাদ ও খাওয়ার পানি এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহারের পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।