প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ নিলাম বর্ষের তৃতীয় চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে এম আর খান চা বাগানের ব্ল্যাক টি কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা দামে নিলাম ওঠে। তাছাড়া সাবারি টি প্ল্যান্টেশনের গ্রিনটি প্রতি কেজি এক হাজার ৩০ টাকা দামে নিলাম ওঠে।
গতকাল বুধবার শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের অস্থায়ী অফিস জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে ৭৪ হাজার ৬৮০ দশমিক ৪ কেজি চা পাতা নিলামে ওঠে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮০ টাকা এবং অ্যাভারেজ গড় মূল্য ছিল আনুমানিক প্রায় ২০০ টাকা।
শ্রীমঙ্গলের পাঁচটি ব্রোকারস হাউস মিলিয়ে প্রায় ১৫-২০ জন বায়ার নিলামে অংশগ্রহণ করেন। তবে আজকের নিলামে বায়ারদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এর আগে গত ২০২২-২৩ নিলাম বর্ষের দ্বিতীয় চা নিলামে ৬৮ হাজার ৭৭৮ দশমিক ৪৫ কেজি চা পাতা নিলামে উঠলেও বিক্রি হয় ২৫ হাজার ৪৫ দশমিক ৭৫ কেজি, যার মূল্য ৫৮ লাখ ৪ হাজার ৮৫৩ দশমিক ৭৫ টাকা। গড় বিক্রয়মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৩১ দশমিক ৭৭ টাকা।
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আজকে প্রায় ৭৫ হাজার কেজির মতো চা অপারিং হয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চায়ের কোয়ালিটি তেমন ভালো হয়নি। বায়াররাও অনেক কম আসছে। তাছাড়া চায়ের দাম আগের তুলনায় অনেক কমছে। টাকার সংখ্যায় আনুমানিক প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো চা অপারিং হয়েছে।’
এদিকে বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বুধবার দুপুরে শেয়ার বিজকে জানান, ‘চলতি মে মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় চায়ের নতুন কুঁড়ি আসছে না। শুধু একবার বৃষ্টি হয়েছিল গত এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ। নতুন কুঁড়ি না আসায় চা উৎপাদন ভালো হচ্ছে না। তাছাড়া চায়ের কোয়ালিটিও ভালো হচ্ছে না। আজ বুধবার বৃষ্টি হচ্ছে। আশা করি এরকম কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে চায়ের নতুন কুঁড়ি আসবে এবং চায়ের উৎপাদন ভালো হবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ২৩টি চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ১৮টি এবং আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে পাঁচটি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সপ্তাহের মাঝে শুধু বুধবার ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নিলামের মাধ্যমে চা ক্রয়-বিক্রয় করা হবে।’