Print Date & Time : 1 August 2025 Friday 7:56 pm

খাদ্যদ্রব্য ঘোষণায় আমদানি হলো নিষিদ্ধ সিগারেট-ঔষধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘোষণা ছিলো খাদ্যদ্রব্য (চাইনিজ ফুড)। কিন্তু খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে লুক্কায়িত অবস্থায় আমদানি করা হলো আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি সিগারেট এবং ঔষধ। কাস্টমস কর্মকর্তাদের নজরদারি আর তদারকিতে চালানটি আটক হয়েছে। ঢাকা আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা পণ্যের সেই চালানটি আটক করেছে। সোমবার (১৭ মে) চালানটি আটক করা হয়। আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউসের একাধিক কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর কাকরাইল এলাকার আমদানিকারক মেসার্স ফ্লাইঅন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ১১ এপ্রিল হংকং থেকে খাদ্যদ্রব্য (ফুড স্টাফ) ঘোষণায় এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। পণ্য খালাসের জন্য স্বাধীন এন্টারপ্রাইজ নামে সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে ১২ মে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়।

পণ্য চালানে খাদ্যদ্রব্যের ভেতর আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে বলে গোপন সংবাদ পায় আইসিডি কমলাপুর কাস্টম হাউসের কমিশনার। এরই প্রেক্ষিতে কমিশনার চালানটিতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা কন্টেইনারের পণ্য কায়িক পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেয়। পরে সিএন্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কয়েকটি কার্টুন খোলা হয়।

এসময় খাদ্যদ্রব্যের ভেতর লুক্কায়িত অবস্থায় ১৮ কার্টুন আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি সিগারেট ও ঔষধ আটক করা হয়। সিগারেটের ব্রান্ডের মধ্যে রয়েছে-হুয়ালঘেলু, যুপণগুয়াং, নানজিং এবং লিগান সিগারেট। আটক করা ৬৭ হাজার পিস সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। আর দুইটি ব্রান্ডের এক লাখ ৮ হাজার ৬৬০ পিস আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধ আটক করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা।

পরে কন্টেইনারের থাকা সব পণ্যের শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য চালানটি আটক করে বন্দরের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আটক করা আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট এবং ঔষধ কাস্টমসের গুদামে রাখা হয়েছে। আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি ও মিথ্যা ঘোষণা দেওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

###