খাদ্য ও জ্বালানি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের উদ্বেগ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: খাদ্য ও জ্বালানি সংকট আরও গভীর করতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৈশ্বিক সংস্থাটি মনে করছে, বেশিরভাগ উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির সংকুচিত মুদ্রার মান খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণে সংকট আরও গভীর হতে পারে। খবর: সিএনএন।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক জানিয়েছে, এরই মধ্যে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে পড়েছে বিশ্বের অনেক দেশ।

বিশ্বমন্দার উদ্বেগের মধ্যেও কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ছয় শতাংশ কমেছে। অবশ্য মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে ৬০ শতাংশ তেল আমদানিকারী বাজার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোয় দেশীয় মুদ্রায় তেলের দাম বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে দক্ষিণ এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি গড়ে ২০ শতাংশের বেশি ছিল। লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ছিল।

তবে চালের দাম স্থিতিশীল থাকায় পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মূল্যস্ফীতি কম ছিল।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা বলেন, বেশিরভাগ দেশে পণ্যের দাম বাড়লেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তবে এ কমার হার গত পাঁচ বছরে গড় স্তরের তুলনায় অনেক বেশি। এ বিষয়টি উন্নয়নশীল দেশগুলোয় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চ্যালেঞ্জ দীর্ঘায়িত করতে পারে।

তিনি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর বিদ্যুতের দাম বেশ অস্থির রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে বিদ্যুতের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চলতি বছর বিদ্যুতের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে বিদ্যুতের দাম প্রায় ১১ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এ ১১ শতাংশ কমার পরও ২০২৩ সালে বিদ্যুতের দাম গত পাঁচ বছরের তুলনায় গড় ৭৫ শতাংশ বেশি হবে।