শেয়ার বিজ ডেস্ক: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গণ-অনশন শুরু করেছে বিএনপি।
শনিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর চার দেয়ালের বাহিরে এটিই বিএনপির বৃহৎ কোন কর্মসূচি।
গণ-অনশন কর্মসূচির শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ স্থায়ী কমিটিসহ শীর্ষপর্যায়ের সব নেতারা অংশগ্রহণ করছেন।
কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকাটিতে বিপুল আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর প্রথমে পুরান ঢাকার বিশেষ কারাগার ও পরে কারাবন্দি অবস্থায় বিএসএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর আরও তিন দফায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
কিন্তু সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার সুযোগের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু কয়েকবার আবেদন করা হলেও কোনো সাড়া মেলায় গত বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে দলীয় চেয়ারপারসনের বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবিতে গণঅনশনের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
এদিকে অনশন কর্মসূচির কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন রাস্তার লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপর লেন খোলা থাকায় সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যেখানে অনশন চলছে তার দুই পাশে এবং পাশের রাস্তার উল্টো পাশে-এই তিন পয়েন্টে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছেন। জলকামানসহ কয়েকটি প্রিজন ভ্যানও রাখা হয়েছে।
এর আগে ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা জানিয়ে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পর দিন ১৪ নভেম্বর ভোর থেকে তাকে ওই হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।