খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় সাক্ষ্য পেছালো

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে এই অস্থায়ী এজলাস বসানো হয়।

মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম আংশিক সাক্ষ্য দিতে হাজির ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এক আবেদন দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।

তিনি আদালতকে বলেন, এই সাক্ষীর জবানবন্দির প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় আছে। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির তালিকায় আছে। কাজেই সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হোক। পরে আদালত পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

মামলার আরেক আসামি এম এ এইচ সেলিমের আইনজীবী জাকারিয়া হায়দার বলেন, আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।

গত ২৩ মে এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর দুটি ধার্য তারিখে বাদী জবানবন্দি দেন। তাঁর জবানবন্দি এখনো শেষ হয়নি। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

অন্য যাঁরা আসামি, তাঁরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এদের মধ্যে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, এ কে এম মোশারফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় ইতিপূর্বেই তাঁদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।