নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের অনিয়ম খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেলেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি দুদক কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ পত্রে সঠিক নাম-ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি। দুদকের তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র জানায়, বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এলে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। গোয়েন্দারা গোপনে তথ্য সংগ্রহ শুরু করলেও বিষয়টি ২১ আগস্ট জানাজানি হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও দুদক থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
সূত্র জানায়, অভিযোগকারীদের প্রতিবেদনটি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। দুদকের গোপন গোয়েন্দা তথ্য অনুসন্ধানে খায়রুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিযোগের আলোকে দুদকের পক্ষ থেকে বিএসইসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীর যোগসাজশে দুর্বল কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও অনুমোদনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়ে ‘অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার’। দুদকের পরিচালক (মানি লন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
