‘খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা’ চালানোর দাবি উত্তর কোরিয়ার

শেয়ার বিজ ডেস্ক : নিজেদের এক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা’ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। এ পরীক্ষার ফলাফল উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত মর্যাদা আরও বাড়াতে ব্যবহার করা হবে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ গতকাল রোববার জানিয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা। খবর: বিবিসি।

এটি স্যাটেলাইট লঞ্চারকে শক্তিশালী করার জন্য কোনো ইঞ্জিনের ভূমিভিত্তিক পরীক্ষা অথবা ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো আলোচনার পথ পিয়ংইয়ং বন্ধ করে দিয়েছে বলে যখন মনে করা হচ্ছে, তখনই এ পরীক্ষার কথা জানাল উত্তর কোরিয়া।

গত শনিবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত কিম সং বলেছেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসার দরকার নেই আমাদের, আর পরমাণুনিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি এরই মধ্যে আলোচনার টেবিলের বাইরে চলে গেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রকে চলতি বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞা ছাড়সহ নতুন একটি পরমাণুনিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করতে বলেছিল উত্তর কোরিয়া, অন্যথায় ‘নতুন পথ’ ধরবে বলে জানিয়েছিল। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করা যাবে, এমন আশা এখনও করছেন বলে শনিবার জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার কূটনীতিকে ২০১৮ সালে তার পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক অ্যাজেন্ডার কেন্দ্রীয় বিষয়গুলোর একটিতে পরিণত করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তিনি দুটি শীর্ষ বৈঠক করেছেন, এমনকি উত্তর কোরিয়ার ভূমিতে পাও রেখেছেন। এত কিছু সত্ত্বেও পরমাণুনিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

নিজেদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে উত্তর কোরিয়া। এর পরও চলতি বছরের প্রথম দিক থেকে ফের স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের আছে বলে মন্তব্য করেন। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় এক বছরের বেশি সময় পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়া শুরু করে দেশটি।