খুলনায় দুর্গোৎসবে তিন স্তরের নিরাপত্তা

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, খুলনা: ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনের এ উৎসব ঘিরে খুলনায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগের প্রায় পাঁচ হাজার পূজামণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। দেবী দুর্গার রূপ ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর দুর্গোৎসবের ব্যয় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপসহকারী কমিশনার ও বিশেষ শাখার প্রধান মনিরা সুলতানা বলেন, দুর্গোৎসব ঘিরে কেএমপি এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরেই থাকবে সশস্ত্র পুলিশ, আনসারদের প্রশিক্ষিত সদস্য ও র‌্যাবের বিশেষ টহল। কেএমপি এলাকায় ১২১টি মণ্ডপ স্থাপিত হয়েছে। এসব মণ্ডপের পাশাপাশি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। নগরীর তিনটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে টহল জোরদার করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ বছরও চার হাজার ৪৮৯টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এর মধ্যে নগরীসহ খুলনায় ৮৪৩, সাতক্ষীরায় ৫৬৩, বাগেরহাটে ৫৬০, যশোরে ৬২৮, ঝিনাইদহে ৪৪৪, মাগুরায় ৬০৪, নড়াইলে ৫৯৩, কুষ্টিয়ায় ২১৭, চুয়াডাঙ্গায় ১০২ ও মেহেরপুরে ৩৫ মণ্ডপে পূজা-অর্চনা হবে। উৎসবকে ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমায় এখন চলছে রংতুলির কাজ। ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্রতিমার পুরো অবয়ব। সব মিলে কারিগরদের এখন দম ফেলার সময় নেই। মা দুর্গা, গণেশ ও মহিষাসুরের জমকালো পোশাক তৈরির কাজে ব্যস্ত দর্জিবাড়ি। কামারপাড়ায় তৈরি হচ্ছে দেবীর হাতের চক্র, গদা, তীর-ধনুক ও ত্রিশূল।

খুলনা পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতা অরবিন্দু সাহা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ৩০ সেপ্টম্বর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এ শেষ হবে পূজা।

মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতা প্রশান্ত কুমার কুণ্ডু বলেন, প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ইতোমধ্যেই প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানানো হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।