খুলনা প্রতিনিধি: বৃহত্তর খুলনায় ভ্যাট আদায়যোগ্য অনুসন্ধানে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে শনাক্ত করে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তালিকা পাঠিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ইসিআর মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও তারা তা এড়িয়ে চলেছে। ইসিআর মেশিন ব্যবহার হলে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ চারগুণ বাড়বে।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে খুলনা নগরীর হোটেল ক্যাসল সালাম লিমিটেড, হোটেল রয়েল ইন্টারন্যাশনাল, সিটি ইন লিমিটেড, দ্য মিলেনিয়াম হোটেল, হোটেল টাইগার গার্ডেন, হোটেল ওয়েস্টার্ন-ইন, হোটেল জেলিকো, অতিথি রেস্তোরাঁ, হোটেল শাহীন, সেভ এন সেফ, গ্রিল হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, চুইঝাল রেস্তোরাঁ, হোটেল আল-আরাফাহ, শের-এ বাংলা রোডের ফারুক ভাইয়ের বিরিয়ানি, মজিদ সরণির আব্বাস হোটেল, সাতরাস্তা মোড়ের হোটেল কাচ্চি ঘর, ডাকবাংলো মোড়ের অলোকা রেস্তোরাঁ, হোটেল ডিলাক্স, হোটেল কস্তুরী, হোটেল অ্যাম্বাসেডর, কিং শর্মা অ্যান্ড ক্যাফে, নিউ আজমেরী রেস্টুরেন্ট, উই হ্যাংগ্রি হোটেল, জিরো পয়েন্টের কামরুল হোটেল, নিউ কাইংফেং, ক্যান্টন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সিএফসি চাইনিজ রেস্তোরাঁ, সিএসএস আভা সেন্টার, নিরালাস্থ সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী, ছালছাবিল সুইটস, সাতরাস্তা মোড়ের বনফুল অ্যান্ড কোম্পানি, সাতক্ষীরা যাদব ঘোষ ডেয়ারী, মিস্টি মহল, সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারী, আকতার ফার্নিচার লিমিটেড, পারটেক্স ফার্নিচার, লাক্সাস ফার্নিচার, আড়ং, পলাশ জুয়েলার্স, শ্যামা জুয়েলার্স, আল-আমিন জুয়েলার্স, মুসলিম জুয়েলার্স, এল রহমান অ্যান্ড সন্স জুয়েলার্স, সাউথ হেরাল্ড ইংলিশ স্কুল, সাউল ভ্যালি ইংলিশ স্কুল, সাতক্ষীরার চায়না বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, পানসি রেস্তোরাঁ, সোনারগাঁ রেস্তোরাঁ, ইটাগাছার হাসিব ট্রেডার্স, বড় বাজারের ফাল্গুনী বস্ত্রালয়, ওয়ালটন প্লাজা, ভাগ্যকুল মিস্টান্ন ভাণ্ডার, ফকির মিস্টান্ন ভাণ্ডার, শাহীন বেকারি, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর, মোজাফ্ফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট, পাটকেলঘাটার আল্লার দান বস্ত্রালয়, আমীন জুয়েলার্স, সাগর সুইটস, শ্যামনগরের বর্ষা রিসোর্ট, বাগেরহাটের ক্যাসেল আসারা, বনফুল মিস্টান্ন ভাণ্ডার, পৌরসভা এলাকার ওয়ালটন প্লাজা, ফকিরহাট এলাকার ওয়ালটন প্লাজা, মোংলার হোটেল পশুর (পর্যটন) ও মোংলার হোটেল টাইগার।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার কমিশনার কেএম অহিদুল আলম সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের কাছে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের ভেতরে অথবা বাইরে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইসিআর মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। আগে সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরের ভেতরে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইসিআর মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ জানান, যেসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ইসিআর মেশিন ব্যবহার উপযোগী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা উচিত। ইসিআর মেশিন ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে ভ্যাট আদায় বাড়বে। এতে ভ্যাট কর্মকর্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ই উপকৃত হবে।