গণঅভ্যুত্থানের আকাক্ষাকে সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ

শেয়ার বিজ ডেস্ক : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে আকাক্সক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে, তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন। সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আলোচনার শুরুতে গতকাল বৃহস্পতিবার অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা একটি জাতীয় সনদে প্রতিফলিত করতে চাই। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এই সনদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করবে।’

বাংলাদেশে নতুন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এ দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফল বলে উল্লেখ করে আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ দীর্ঘদিনের ক্ষোভ যেমন প্রকাশ করেছে, তেমনি তাদের প্রত্যাশাকেও প্রকাশ করেছে এবং ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে ধারণ করে।’

তিনি বলেন, ‘বারবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হোক, তা দেশের মানুষ চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সবার সমানাধিকার থাকবে, নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং ভিন্নমতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে।’

অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে কমিশন। এ দায়িত্ব কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকেই মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।’

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে এ আলোচনায় অংশ নেনÑদলটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নান্টু, শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব ও রাহাত আহম্মেদ।