নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নিÑদাবি করে নেতাকর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াইয়ের শেষ কোথায়; আমরা জানি না। তারপরও আমাদের চলার পথ অর্থাৎ গণতন্ত্র উদ্ধার করার পথ থেকে আমাদের সরে যাওয়া যাবে না। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজকে নিষ্পেষিত ও বন্দি। এ থেকে আমাদের অবশ্যই পরিত্রাণ পেতে হবে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার এক আলোচনাসভায় কথা বলছিলেন এই বিএনপি নেতা।
গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন সফল করতে ‘নতুন কৌশলে’ এগোতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল কাজটা হলো তারেক রহমানের নেতৃত্বকে সফল করা। আমরা যদি তার নেতৃত্বকে সফল করতে চাই, তাহলে নিজ নিজ কাজে নিষ্ঠাবান হতে হবে।’
‘আমাদের বুঝতে হবে, মনের সঙ্গে আর কাজের সঙ্গে যেন অসঙ্গতি না থাকে। আমাদের নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করতে হবে, যে কৌশলের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি মনে করি। সেই জরুরি কাজটা করতে গেলে আমাদের সততা-নিষ্ঠার দরকার আছে।’
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই দিনটি উপলক্ষে গতকাল যৌথভাবে আলোচনাসভার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।’
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘১/১১-এ তারেক রহমান বন্দি হয়েছে, সারা জাতি বন্দি হয়েছে, তখনই গণতন্ত্র বন্দি হয়েছে। বলা হয়, তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। আসলে তিনি পান নাই। তিনি মুক্তি পান নাই মানে দেশের মানুষও মুক্তি পায় নাই। যে লড়াই ও সংগ্রামকে লক্ষ্য করে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই বাংলাদেশে এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নাই।’
২০০৭ সালে ৭ মার্চ সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। পরে তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করা হয়। এক বছর পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে লন্ডনে যান।
আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কত মিথ্যাচার করেছে, কত অপপ্রচার করেছে, তারপরও সরকার কিছু করতে পারছে না। গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াইয়ে জিততেই হবে। আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠন করতে হলে এই সরকারকে সরাতেই হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আহসান ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।