শেয়ার বিজ ডেস্ক: গর্ভপাতের ওষুধের (পিল) অনুমোদন দিয়েছে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে এ পিল ব্যবহার করতে পারবেন দেশটির গর্ভবতীরা। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
২২ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত জাপানে বৈধ। এজন্য সঙ্গীর অনুমতির প্রয়োজন।
এতদিন পর্যন্ত জাপানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাত ছিল একমাত্র পদ্ধতি। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হলো ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি লাইনফার্মার তৈরি ওষুধ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুমোদনের জন্য ওই পিল জাপান প্রশাসনের কাছে দিয়েছিল লাইনফার্মা। অবশেষে পাওয়া গেল অনুমোদন।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে প্রথম গর্ভপাতের পিল চালু হয় ফ্রান্সে। ১৯৮৮ সালে সে দেশে ওই পিলের অনুমোদন দেয়া হয়।
২০০০ সাল থেকে আমেরিকায় চালু হয় এ ওষুধ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় গর্ভপাতের আইনি বৈধতা নিয়ে বিতর্ক শুরু
হয়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, পঞ্চাশ বছরের পুরোনো গর্ভপাতের আইন এবার বাতিল করে দেয়া হবে। আর আইনি বৈধতা পাবে না গর্ভপাত। এ রায়ের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে শামিল হন সাধারণ মানুষ থেকে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। তারপর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেন কয়েকটি প্রাদেশিক আদালত। এদিকে গত মাসে দেশটিতে মাইফপ্রিস্টন নামের ওই ওষুধটি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৫৩ শতাংশ গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি ব্যবহার করা হয়। তবে এ রায় প্রকাশের এক ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনের প্রাদেশিক আদালত জানিয়ে দেন, ১৭টি প্রদেশে এ নির্দেশ কার্যকর হবে না।
জাপানেও গর্ভপাত নিয়ে ক্যাম্পেইন চলছে। দেশটিতে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া জরুরি গর্ভনিরোধ পিল পাওয়া যায় না। চিকিৎসকের অনুমতি সাপেক্ষে এ ধরনের পিল বিক্রি করেন ফার্মাসিস্টরা।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, গর্ভপাতের পিল ও চিকিৎসাবাবদ প্রায় ১ লাখ ইয়েন (৫৮৫ পাউন্ড) খরচ হতে পারে। স্বাস্থ্যবীমা সুবিধার আওতায় এ সেবা পাওয়া যাবে না।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গর্ভপাতের জন্য খরচ হয় ১ লাখ থেকে ২ লাখ ইয়েন।