গাংনীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

প্রতিনিধি, গাংনী (মেহেরপুর) : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে হুজাইফা (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পিতার নাম তুহিন আলী।

ইউপি মেম্বর মনিরুল জানান, হুজাইফা সকালের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। অনেক্ষণ ধরে তার খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন তারা। একসময় পুকুরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হুজাইফার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে গিয়ে সে পুকুরের পানিতে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। গাংনী থানার ডিউটি অফিসার জহুরুল ইসলাম জানান, শিশুমৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দুই বছর পর সেনা সহায়তায় ঘরে ফিরল এক পরিবার

প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের অধীন ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহায়তায় দীর্ঘ দুই বছর পর থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রাতাপাড়া বমপাড়ার পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে থানচি সদর ইউনিয়নের ৩নং ইউনিয়ন প্রাতাপাড়া বমপাড়ায় ফেরেন তারা। এ সময় ওই পরিবারকে মেডিকেল সহায়তা ও ওষুধপত্র প্রদান এবং তাদের মাঝে শুকনা রসদÑপাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি চাল, দুই কেজি চিনি, তেল, ডাল, লবণ চা-পাতা ও মসলাসামগ্রী প্রদান করা হয়।

প্রাতাপাড়ার বাসিন্দা পারক্যালিং বম বলেন, ‘কেএনএফ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমস্যার কারণে তারা এত দিন বনজঙ্গলে ও বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয়ে ছিলেন। সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আজ বাড়িতে ফেরায় খুব খুশি লাগছে।’

পাড়ার নতুন আসা পরিবারের রোয়াল চম বম বলেন, ‘প্রায় দুই বছর বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় অনেক দিন পর নিজ বসতভিটায় ফিরতে পেরেছি। এত আনন্দ বলার মতো নয়।’

প্রাতাপাড়াবাসী জানান, ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে পাড়ায় সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সশস্ত্র গ্রুপ এবং বাকলাই পাড়া সেনা সাব জোন ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা কেএনএফ সদস্যদের আটক করতে অভিযানে নামলে উভয়ের সংঘর্ষের কারণ এবং কেএনএফ সদস্যদের নানারকম নির্যাতন ও অত্যাচারের ভয়ে তারা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন। ওই সময়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মোট ১৮টি পরিবার বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়।

বাকলাই সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আসিফ জুবায়ের জানান, বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন এবং ফেরত আসা জনগোষ্ঠীর চাকরির ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় খাবারের রসদ সরবরাহ প্রভৃতি ব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।