গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার হয়েছে। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

গতকাল রোববার গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় এ তথ্য জানায়। তারা জানায়, নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৫ হাজার ৫০০টির বেশি শিশু রয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ জন। উপত্যকায় আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। গাজা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তির সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যম কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলায় ৪৩ হাজারের বেশি আবাসন ইউনিট পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আবাসন ইউনিটের সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার। এর মানে গাজা উপত্যকার ৬০ শতাংশ আবাসিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের জেরে ১ হাজার ২৭০টি গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের মতে, হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস। জবাবে সেদিন থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। পাশাপাশি তারা গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে। গাজায় অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থল অভিযান ও গাজায় তাদের হামলা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এমন বক্তব্যের ফলে গাজায় স্থল অভিযানের মাত্রা আরও বাড়বে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে তারা স্থল অভিযানকে গাজার দক্ষিণে আরও অগ্রসর করতে পারে।

ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি চিকিৎসকরাও। মোট ২০০ চিকিৎসক, ২২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী এবং ৫১ জন সাংবাদিকও হামলায় নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি হাসপাতাল, ৫২টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্সকে ইসরায়েলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু করেছে। গত শনিবার উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়েছে শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলও।