শেয়ার বিজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যা চার হাজার। খবর: আল জাজিরা।
গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল। এছাড়া গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সাত হাজার মানুষ।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। মিডিয়া অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, গাজার রাস্তা ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের পর অঞ্চলটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ছয় হাজার ১৫০টির বেশি শিশু এবং চার হাজার নারী রয়েছেন। গাজায় এখনও সাত হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আছেন বা তাদের ভাগ্য ঠিক কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা। নিখোঁজ এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে চার হাজার ৭০০ জনের বেশি নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, দেড় মাসের বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চার দিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল, যার মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস এরই মধ্যে ৫০ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। গত সোমবার ছিল এই চুক্তির শেষ দিন।
যদিও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে এসেছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবার গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে। তবে শেষমুহূর্তে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়।
যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা রেখেছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছেন, গাজায় অতিরিক্ত দুদিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি বাড়াতে একটি চুক্তি হয়েছে। একই সঙ্গে আরও চার দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আরও দুদিনের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে পক্ষগুলো।