শেয়ার বিজ ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর: আল জাজিরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইরেজ সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপর গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তার পর থেকে প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৫ হাজার ২৩৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ১৪১ জন।
গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো রকেট এবং উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানের কারণে খাদ্য এবং পানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। এছাড়া সেখানে পর্যাপ্ত স্যানিটেশনের অভাবও দেখা দিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অনির্দিষ্ট পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ফলে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মধ্যে যে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে তা আর গোপন রাখা গেল না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পরপরই তার নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদে একটি যুদ্ধ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছিল। সেখানে শত্রুভাবাপন্ন নয় এমন একটি স্থানীয় বিকল্প ফিলিস্তিনি শাসকগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কঠোর ভাষায় এর জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ফাতাস্থানের সঙ্গে হামাস্তানের বিনিময় করতে প্রস্তুত নন। ফিলিস্তিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হামাস ও ফাতাহকে ইঙ্গিত করেছেন তিনি।
এছাড়া মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যেও উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফায় হামলার কারণে কায়রো তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে আনার বিষয়ে ভাবছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরায়েল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে মিসর।